UA-199656512-1
top of page




ree

আর্যসমাজের কিছু ফেসবুক পণ্ডিত যারা নিজেদের বড় জ্ঞানী ভাবে ,যাদের বলে ফেসবুক ফণ্ডিত,নিজেদের কোন শাস্ত্রীয় জ্ঞান নেই কেবল,ফেসবুকের লেখাকে কপিপেষ্ট করে প্রচার করে এবং কোন শাস্ত্রীয় জ্ঞান না থাকায় অর্থাৎ কোনগুরুকুলে না পড়ায় শাস্ত্রের উল্টোপাল্টা অর্থ করে প্রচার করে , এদের অবস্থা আপনি নিচের পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারবেন ।


আরো কিছু সত্য জেনে রাখুন , আর্য সমাজীরা নিজেদের নামের পিছে বড় বড় টাইদেল লাগায় ষেগুলি কোন শাস্ত্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত নয় ,তারা নিজেদের নামে এগুলি এমনিতেই লাগায়, তথা আর্য সমাজ এগুলি প্রদান করে , তাই এদের টাইটেল দেখে মনে করবেন না যে এরা বড় বিজ্ঞ ।




নিচের সম্পূর্ণ পড়ুন


ক্লাস 1 হতে আরম্ভ করে অনার্স মাষ্টার্স পর্য্যন্ত পড়াশুনা করতে শিক্ষকের প্রয়োজন হয়, টিউশন নিতে হয় নইলে বিদ্যা অর্জন হয়না অথবা আপনি কখনই শিক্ষা লাভ করতে পারবেন না ৷

#কিন্তু বর্তমান কিছু মূর্খগুলি বেদ,পুরানাদি শাস্ত্র কিনে এনে ঘরে বসে নিজে পড়ে এবং বলে পুরানে ভুল, শাস্ত্রে ভুল আছে ৷ এবার বুঝুন যে কেন এমন বলে তারা? কারন তারা কোন গুরু ছাড়াই বা কোন সংস্কৃতজ্ঞের নিকট না পড়েই নিজেকে পণ্ডিত বলে মনে করে এগুলি পড়তে যায় এবং পড়ে , যার জন্য এগুলি কিছুই বোঝেনা ৷ পূর্বে আমাদের গুরুকুল ব্যবস্থা ছিল যেখানে গুরুর নিকট হতেই অর্থাত্ সংস্কৃতজ্ঞের নিকট হতেই এসকল কিছু অধ্যয়ন করতে হত, তারপরেই এ সমস্ত জ্ঞান প্রাপ্তি হত ৷ বর্তমানে যারা ফেসবুকে শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরাধা, পুরানাদি বিভিন্ন শাস্ত্র সম্বন্ধে নানান উল্টোপাল্টা পোষ্ট করে, তাদের জ্ঞান কতটুকু ? এবার আপনিই ভাবুন ৷ তাদের কথা কি বিশ্বাস যোগ্য? কখনই না ৷ কারন তারা নিজে কারো নিকট না পড়েই নিজেই পণ্ডিতগিরি দেখাচ্ছে ৷ তার হল অজ্ঞ ৷ যাদের বলে স্বয়ং ফণ্ডিত 😁


#যেমন 1 হতে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষকের নিকট পড়তে হয় তার পরেই সেই সমস্ত বিষয়ে সমন্ধে ভালভাবে জানা যায় ৷ আপনি যদি আর্টসের ছাত্র হন তবে সাইন্সের বই কিনে নিজে ঘরে পড়ে সাইন্স সম্বন্ধে সব বুঝে যাবেন? ক্যামেষ্ট্রি, ফিজিক্স, উচ্চতর গনিত সব নিজেই শিখে যাবেন বই দেখে? গাইড দেখে? পারবেন তো? নিজেকে প্রশ্ন করুন একবার ৷ উত্তর আসবে সেটা কখনই সম্ভব নয় ৷ তাই ফেসবুকের কিছু পোষ্ট দেখে সেগুলিকে বিশ্বাস কিভাবে করেন? কিভাবে আপনি সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করেন যে কখনই সংস্কৃতজ্ঞের নিকটই পড়েনি? গুরুকুলে পড়েনি?

#কথা হল এটাই যে এরা ফেসবুক ফণ্ডিত ও নিজেদের মস্তবড় জ্ঞানী মনে করে অথচ সংস্কৃত সম্বন্ধে কিছুই জানেনা, সংস্কৃতজ্ঞের নিকট তথা ধার্মিক কোন গুরুর নিকট এরা পড়েনি অর্থাত্ এরা যা বলে সেগুলি এদের মনগড়ন কথা তথা বানোয়াট কথা ৷ শাস্ত্রকে না জেনে না বুঝেই কথা এসব উল্টোপাল্টা কথা বলে ৷ যেমন ফিজিক্স, ক্যামেষ্ট্রিতে সূত্র আছে তাকে বুঝতে হয়, আর সেগুলি বুঝতে গেলে শিক্ষকের প্রয়োজন হয় এবং যে যে বিষয় হয় সেই সেই বিষয়ের শিক্ষকের নিকট হতেই সেই বিষয় জানা যায় ৷ আর্টসের শিক্ষক যেমন কমার্সের বিষয়গুলি পড়াতে পারেনা তথা সাইন্সের বিষয়গুলি পড়াতে পারেনা তেমনি সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত তথা গুরুবিহীন ধর্মাদি শাস্ত্র জানা যায় না ৷ যেমন ক্যামেস্টি, ফিজিক্স, গনিতে সূত্র থাকে তেমনি পুরানাদি শাস্ত্রেও বাক্য রহস্য রয়েছে যা কেবল নিজে পড়লে বুঝবেন না ৷ এর জন্য প্রয়োজন তদ্বিষয়ক গুরু ৷ এর জন্যই গুরুকুলে পূর্বে এ সমস্তকিছু পড়ানো হত ৷


#এই সমস্ত ভ্রান্তবুদ্ধি লোকেরাই অপপ্রচার করছে যাদের সামন্য কোন জ্ঞান নেই, তারা সংস্কৃত জানে না এবং কোন গুরুকুলেও পড়েনি অতএব এসমস্ত বিষয়ে তারা হল অনভিজ্ঞ বা অজ্ঞ যার জন্য তারা ভ্রান্তিই ছড়িয়ে থাকে ৷ তারা নিজেও জানেনা কোনটি সঠিক ৷ কেবল ফেসবুকের লেখা কপি করেই পোষ্ট করে এবং সেটাকেই সত্য মেনে নেয় ৷ তাই এদের বিশ্বাস করবেন না ৷

#যদি নিজে নিজে পড়ে সব কিছু করা যেত তবে স্কুল,কলেজ অধ্যাপকের প্রয়োজন হত কি? তবে কি পূর্বে আমাদের গুরুকুল ব্যবস্থার প্রয়োজন হত?

#তবে তো বাজারে গাইড কিনে সবাই ঘরে পড়েই সবকিছু বুঝে যেত তবে আর শিক্ষকের প্রয়োজন হতো না? তবে আগে আপনি নিজে স্কুলে কলেজে যাওয়া বন্ধ করুন বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউশন নেওয়া বন্ধ করে দিন , প্রমাণ করুন যে শিক্ষক ছাড়াই আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন, তারপর না হয় ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন ৷ যত্তসব উজবুকের দল ৷


#আপনি অবাক হবেন যে সংস্কৃত পাণিনি ব্যাকরণ সম্পূর্ণ পড়তে 12 বছর লেগে যায়, লঘুসিদ্ধান্ত মাত্র এক বছর এর পর মধ্যসিদ্ধান্ত কৌমুদী এর পর সিদ্ধান্ত কৌমুদী এবং তার ভাষ্য ৷ এবার আসি অন্য শাস্ত্র অধ্যায়ন এর কথায়, ভাগবত পুরান যাকে নিয়ে আর্য ও নাস্তিকদের মনগড়া সিদ্ধান্ত ভাগবত পুরানের উপর কমসে কম 100 টি সংস্কৃতে ভাষ্য রচিত হয়েছে যার প্রায় 22 টি বর্তমানে পাওয়া যায়, সেগুলি পড়তে গেলেও কমসে কম 10 বছর তো লাগবেই ৷ এবার ভাবুন ন্যায় শাস্ত্র, বেদান্ত,মীমাংসা,সাংখ্যা, কোষ,ছন্দ,নিরুক্ত,অলংকার,দর্শন,বেদাঙ্গ,এসব শাস্ত্র পড়তে কত সময় লাগতে পারে ? যদি সকল শাস্ত্র এক বারে পড়তে চান তবে কিছুই বুঝবেন না বা আপনাকে এভাবে কেউ পড়াবেই না, আপনাকে ক্রমানুসারে পড়তে হবে ৷

এবার ভাবুন এতকিছু পড়ার পরেই কেউ পণ্ডিত হয় , অর্থাত্ ধর্মচর্চার অধিকারী হয় ৷ অর্থাত্ এমন ব্যক্তিই ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান প্রদান করতে পারে,সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারে ৷

#এবার একবার প্রকৃত পণ্ডিতের কথা ভাবুন আর ফেসবুকে উল্টোপাল্টা যারা লেখে সেই সমস্ত উজবুক,ফেসবুক ফণ্ডিতদের কথা ভাবুন ৷


#এজন্যই বলে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী ৷ এবং গুরুহীন বিদ্যা কেবল বিনাশকারী তথা ভ্রম ছাড়া কিছুই না ৷ তাই শ্রীরাধাকৃষ্ণ তথা পুরানাদি শাস্ত্রের বিরুদ্ধে যারা লেখে বা সনাতনী বিরুদ্ধ কথা লেখে মনে রাখবেন সেগুলি পাষণ্ড ও মূর্খ নম্বর 1 ৷ কোন ধর্মীয় জ্ঞান তাদের নেই ৷ অতএব তাদের কথায় কান দেবেন না ৷ #তাদের বুদ্ধি যে পূর্বেই নষ্ট হয়েছে এটাই জানবেন, এবং গুরুহীন বিদ্যা এবং নিজে নিজে পণ্ডিত হতে গিয়ে সমস্ত বুদ্ধি বিলুপ্ত হয়েছে তথা সে বিভ্রান্তিতে ভ্রমিত হয়েছে ৷ অতএব এ সকল ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করুন তথা এদের কথায় কান দেবেন না ৷ জানবেন এগুলি জ্ঞানবিহীন মূর্খ নাস্তিক ৷


লেখক: পণ্ডিত শ্রীরঘুনাথ দাস শাস্ত্রী ( ব্যাকরণাচার্য্য, বেদান্তবিভাগ,ভাগবত শাস্ত্রী , বেনারস সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় )


#এই পোষ্টটি শেয়ার করুন, সকলকে পাঠান,জাগ্রত করুন সকলকে ৷



 
 
 

ree
  1. #কলির নাটকবাজী ৷ এই দুধের বাচ্চা তাকে নাকি বেশ দিয়ে বাবাজী করা হয়েছে ৷ এই সব নাটকবাজি পায় কোথায় এরা? এই শিশু এখন কিছুই বোঝেনা না , না এ অধিকারী, তথাপি এসব নাকটবাজি কেন? সমাজের কিছু পাগলাচার্য্যদের জন্য এই অবস্থা, কোন বিচার বিবেচনা ছাড়ায় নিজের ইচ্ছা মত কাজ করে এরা যত্তসব কলির ভণ্ড বাটপার ৷ #এই বয়সে উচিত পড়াশুনা এবং যথার্থ শাস্ত্র শিক্ষা এবং বেদাদি শিক্ষা গ্রহনের কিন্তু তা না করে বাবাজী করে দিল ৷ কি জ্ঞানে বাবাজী করল একে? যে করছে সে ব্যক্তিই অবশ্যই শাস্ত্রা মানেনা নিজের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে ৷ যত্তসব পাগলাচার্য্য এদের জন্যই ধর্মের এ হেন অবস্থা ৷ কদিন পর এই ছেলেই ভাণ্ডারা খেয়ে বেড়াবে আর জীবনটা নষ্ট করবে ৷ এই সব পাগলামি যারা করে তাদের আজকাল অনেক বাহবা ৷ সাধারণ লোক যে কবে বুঝবে যে এই সমস্ত লোকগুলি কেবল ধর্মনিয় ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে ৷ গুরুব্যবসার মত বৃহৎ কোন ব্যবসা নেই ৷ এখানে অর্থকে ডিপোজিট করতে হয় না শুধুই প্রফিট ৷ সাধারন মানুষের বোঝা উচিত ধর্ম কোন খেলা নয় ৷ বাবাজীর বেশটা কোন খেলা নয় যে যাকে তাকে ধরে দিয়ে দিলাম ৷ শাস্ত্র একটি সুনির্দিষ্ট বয়স নির্ধারন করেছে এর জন্য, অথবা বেদ, বেদাঙ্গ,পূর্বজন্মজন্মান্তরের সৎকর্মের দ্বারা এর অধিকারী হয় ৷ যারা এর অধিকারী হয় বাল্যকালেই তাদের সমস্ত জ্ঞান প্রাপ্ত,তথা সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী হয় ৷ সকলের এটা জানা উচিত যে ভক্তির মাধ্যে গূঢ়রূপে জ্ঞানও বিদ্যামান থাকে ৷ তাই সে ভক্তি ও জ্ঞানের পূর্ণাধিকারী হয় ৷ তাই তাকে যাই জিজ্ঞাসা করা হোক সে অবশ্যই সক্ষম হবে উত্তর দিতে ৷ কিন্তু আজকালের ভণ্ড, পাগলাচার্য্য, অশাস্ত্রজ্ঞ,মূর্খশিরোমণিগুলির পিছে লোক দৌড়াছে এবং তাদের চরণেই লুটিয়ে পড়ছে ৷ আজকাল কোন কোন গুরু বলছে আমি ওমুকের দর্শন পেয়েছি তমুক আমাকে দর্শন দিয়েছে আর ভক্তরা পাগলের মত বিশ্বাস করে যাচ্ছে, ওরে মূর্খ একবার ভাব যে ভগবৎ দর্শনের কথা কেউ কখনও বলে না ৷ একমাত্র শ্রেষ্ঠ অন্তরঙ্গকেই বলা যায় এটি ৷ কিন্তু আজকাল তো মাইক লাগিয়ে বলে বেড়াচ্ছে কলির ভণ্ডগুলি এসব ৷ আর কি বলব একসাথে দুচারশো ভক্ত বসিয়ে দীক্ষানুষ্ঠান এসব কোন শাস্ত্রে আজে বা কোন মহাজনের সিদ্ধান্ত? এসব ভণ্ড বাটপার গুলি থেকে সাবধান হোন ৷ আজকাল এসব ভণ্ড,ভূলভাল বকে বেড়ানো লোকগুলিই হল কর্ণধর যার জন্য ধর্মের এ অবস্থা ৷ আবার এমন অনেক জগৎগুরু প্রেমদাতা আজকাল দেখা যারা নিজের পরিবারকে আজও ঠিক করতে পারেনি, অথচ জগতের গুরু প্রেমদাতা নিতাই এর সমতুল্য বলে নিজেকে জ্ঞান করে, বলি কিসের প্রেমদাতা হে বাপু তুমি ? আত্মবৎ সর্বভূতেষু যিনি হয়েছেন, সামান্য কীটকেও যিনি সন্মান প্রদান করেন তিনিই একমাত্র চরাচরের গুরু ৷ বাকি সব নাটকবাজ ভণ্ড ৷ পিতার পাগড়ি পরে নিলেই পুত্র পিতা হয়ে যায় না ৷ কেউ যদি ভাবে আমি অমুক তমুক আমার বাবা এই সেই তবে তাকে খুলে স্পষ্ট বলুন বয়ম্ অমৃতস্য পুত্র ৷ আমরা ভগবানের সন্তান যতটা আপনার অধিকার ততটা আমারও ৷ যে জীবকে সন্মান দিতে জানেন না কেবল নিতে জানে সে কোন দিনই সৎগুরু নয় সে কেবল বাটপার ৷ এসব নাটক চলবে কলি যুগে আর এই নাটকবাজ লোকগুলিই ধর্মভীরু মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে খেয়ে যাবে ৷ অধিক আর কি বলব, সতর্ক হোন ৷


জয় শ্রীরাধে

 
 
 
Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page