UA-199656512-1
top of page


"#ময়নাডালে_মহাপ্রভু !" "(#পর্ব_০৬)" চলবে ৷

#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র_ঠাকুর

ময়নাডালে এসে মহাপ্রভুর সেবার জন্য বিভিন্ন যাত্রা মহোৎসবের গান রচনা করেন ৷

নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর তাঁর নিজস্বভাব ও গম্ভীর ও তালে সেইসব গান মন্দির চত্বরে মহাপ্রভুর বিগ্রহের সামনে বসে গাইতেন ৷ বৈষ্ণবোচিত সকল অনুষ্ঠানই ময়নাডাল ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়, তার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী-নন্দোৎসব এবং দোল যাত্রা ৷ বৈষ্ণবোচিত উৎসবগুলিতে ঠাকুর বাড়িতে যে গানগুলি গাওয়া হয় তার রচয়িতা,সুরকার ও মৃদঙ্গের বোল স্রষ্টা স্বয়ং নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর ৷

#যেমন_জন্মাষ্টমির সন্ধ্যারতিতে নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুরের সময় হতে এখনও যে গানটি ময়নাডালের ঠাকুর বাড়িতে মিত্র ঠাকুরদের সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়—

"#অারতি_কিয়ে_জয়শ্রী গৌরগোপাল কি কনক কমল রুচিরানন ঝলক তিলক বর ভাল কি ৷"

এর শেষাংশ—

"#রূপক_ভূপ_অনুপ বর লাবণি

উছলত গৌর দয়াল কি

গৌর অঙ্গ পহুঁ নরসিংহ ক্যাগতি- ক্যাভয় উয়াযম্ কালকি ৷"

#শ্রীখোলের বোলের তরঙ্গে এই গান অাস্বাদন যাঁরা করেন,তাঁরা ভাগ্যবান ৷

#সেদিন_জন্মাষ্টমীর উৎসব চলছে ঠাকুরবাড়িতে দলে দলে ভক্তের সমাগমে ময়নাডালের ঠাকুরবাড়িতে যেন তিল ধারনের জায়গা নেই ৷


#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র ঠাকুর মনে মনে ঠিক করেছেন, অাজ তাঁর প্রাণের ঠাকুরকে মনের মত করে শৃঙ্গার করবেন ৷ তিনি নিজ হাতে বড় মাপের,যেন চরণ ছুঁয়ে থাকে সেরকম সাদা ফুলের মালা ও একটি কৃষ্ণ বর্ণের তমাল পাতার মালা, তার পরেও একটি সাদা ও লাল ফুল মিশিয়ে একটি মালা গাঁথলেন ৷ দুই হাতে ফুল দিয়েই বালা তৈরী হল, কানে ফুলের কুণ্ডল,মাথার চূড়া ফুলের সাজে ঢাকা পড়ল ৷ এখন তিনি ভাবছেন অাজ অামার গৌরহরিকে কৃষ্ণবেশে সাজিয়ে দিই,তাই তিনি গৌরহরিকে পীতবাস পড়ালেন ৷ কিন্তু তবুও তাঁর মন ভরল না, তাঁর খেয়াল হল তাঁর গৌরহরি-তো রাধা-কৃষ্ণের মিলিত তনু, নিজভাবনাতেই তিনি গৌরহরির মাথায় ঘোমটা পড়ালেন,তিনি যেন গৌরহরির অপরূপ রূপ দর্শন করলেন, নৃসিংহবল্লভের চোখের জল যেন বাঁধ মানে না ৷ তিনি মনে মনে ভাবছেন,রাধা ভাবে মৃদু মৃদু হেসে তাঁর প্রাণের ঠাকুর যেন বলছেন রাধারাণীর রূপে যে অামি গৌরহরি হয়েছি- নৃসিংহবল্লভ ! এই রাধাভাব অামি বড় ভালবাসি ৷ নৃসিংহবল্লভের চোখের পলক যেন পড়ে না, তিনি যে কতক্ষণ এভাবে তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির দিকে তাকিয়ে বসে অাছেন হয়ত তিনি নিজেও জানেন না ৷ কিন্তু উপায় নেই, তাঁর মনে পড়ল বাবাজী বৈষ্ণবেরা এসেছেন,তাঁদেরও সেবার অায়োজন করতে হবে ৷


#জন্মাষ্টমীর_নিশি, মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের অভিষেক সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির অারতি করলেন নৃসিংহবল্লভ ৷ অার ভোরের অালো ফুটে উঠতেই শুরু হল নন্দোৎসবের অায়োজন ৷

"(#জয়_শ্রীগৌরহরি)"

"#ময়নাডালে_মহাপ্রভু !" "(#পর্ব_০৬)" চলবে ৷

#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র_ঠাকুর

ময়নাডালে এসে মহাপ্রভুর সেবার জন্য বিভিন্ন যাত্রা মহোৎসবের গান রচনা করেন ৷

নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর তাঁর নিজস্বভাব ও গম্ভীর ও তালে সেইসব গান মন্দির চত্বরে মহাপ্রভুর বিগ্রহের সামনে বসে গাইতেন ৷ বৈষ্ণবোচিত সকল অনুষ্ঠানই ময়নাডাল ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়, তার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী-নন্দোৎসব এবং দোল যাত্রা ৷ বৈষ্ণবোচিত উৎসবগুলিতে ঠাকুর বাড়িতে যে গানগুলি গাওয়া হয় তার রচয়িতা,সুরকার ও মৃদঙ্গের বোল স্রষ্টা স্বয়ং নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর ৷

#যেমন_জন্মাষ্টমির সন্ধ্যারতিতে নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুরের সময় হতে এখনও যে গানটি ময়নাডালের ঠাকুর বাড়িতে মিত্র ঠাকুরদের সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়—

"#অারতি_কিয়ে_জয়শ্রী গৌরগোপাল কি কনক কমল রুচিরানন ঝলক তিলক বর ভাল কি ৷"

এর শেষাংশ—

"#রূপক_ভূপ_অনুপ বর লাবণি

উছলত গৌর দয়াল কি

গৌর অঙ্গ পহুঁ নরসিংহ ক্যাগতি- ক্যাভয় উয়াযম্ কালকি ৷"

#শ্রীখোলের বোলের তরঙ্গে এই গান অাস্বাদন যাঁরা করেন,তাঁরা ভাগ্যবান ৷

#সেদিন_জন্মাষ্টমীর উৎসব চলছে ঠাকুরবাড়িতে দলে দলে ভক্তের সমাগমে ময়নাডালের ঠাকুরবাড়িতে যেন তিল ধারনের জায়গা নেই ৷


#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র ঠাকুর মনে মনে ঠিক করেছেন, অাজ তাঁর প্রাণের ঠাকুরকে মনের মত করে শৃঙ্গার করবেন ৷ তিনি নিজ হাতে বড় মাপের,যেন চরণ ছুঁয়ে থাকে সেরকম সাদা ফুলের মালা ও একটি কৃষ্ণ বর্ণের তমাল পাতার মালা, তার পরেও একটি সাদা ও লাল ফুল মিশিয়ে একটি মালা গাঁথলেন ৷ দুই হাতে ফুল দিয়েই বালা তৈরী হল, কানে ফুলের কুণ্ডল,মাথার চূড়া ফুলের সাজে ঢাকা পড়ল ৷ এখন তিনি ভাবছেন অাজ অামার গৌরহরিকে কৃষ্ণবেশে সাজিয়ে দিই,তাই তিনি গৌরহরিকে পীতবাস পড়ালেন ৷ কিন্তু তবুও তাঁর মন ভরল না, তাঁর খেয়াল হল তাঁর গৌরহরি-তো রাধা-কৃষ্ণের মিলিত তনু, নিজভাবনাতেই তিনি গৌরহরির মাথায় ঘোমটা পড়ালেন,তিনি যেন গৌরহরির অপরূপ রূপ দর্শন করলেন, নৃসিংহবল্লভের চোখের জল যেন বাঁধ মানে না ৷ তিনি মনে মনে ভাবছেন,রাধা ভাবে মৃদু মৃদু হেসে তাঁর প্রাণের ঠাকুর যেন বলছেন রাধারাণীর রূপে যে অামি গৌরহরি হয়েছি- নৃসিংহবল্লভ ! এই রাধাভাব অামি বড় ভালবাসি ৷ নৃসিংহবল্লভের চোখের পলক যেন পড়ে না, তিনি যে কতক্ষণ এভাবে তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির দিকে তাকিয়ে বসে অাছেন হয়ত তিনি নিজেও জানেন না ৷ কিন্তু উপায় নেই, তাঁর মনে পড়ল বাবাজী বৈষ্ণবেরা এসেছেন,তাঁদেরও সেবার অায়োজন করতে হবে ৷

#জন্মাষ্টমীর_নিশি, মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের অভিষেক সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির অারতি করলেন নৃসিংহবল্লভ ৷ অার ভোরের অালো ফুটে উঠতেই শুরু হল নন্দোৎসবের অায়োজন ৷

"(#জয়_শ্রীগৌরহরি)"

 
 
 

"#ময়নাডালে_মহাপ্রভু !"

"(#পর্ব_০৫)" চলবে ৷

#বৈষ্ণব_ধর্ম_প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে শ্রীনরোত্তম ঠাকুর খেতুরিতে(বর্তমানে বাংলাদেশ) যে মহোৎসব করেন , সেই উৎসবে বিভিন্ন স্থান থেকে বৈষ্ণবগণ উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ সেই উৎসবে নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুরও যোগ দিয়েছিলেন ৷ খেতুরি উৎসবে-চৈতন্য পূজন,কৃষ্ণ ভজন,কীর্তন মহোৎসব,রাধাবল্লভ,রাধাকান্ত, রাধামাধব,রাধামোহন,রাধা বিনোদ ইত্যাদি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা , চৈতন্যচরিতামৃত পাঠ, নরোত্তম ঠাকুরের দৈনন্দিন জীবন যাত্রার প্রণালী বৈষ্ণব সমাজে প্রচলিত হয়,চারদণ্ড প্রত্যুষে নিদ্রাত্যাগ, গৌরাঙ্গের মঙ্গল অারতি দর্শন,ভজন,তিলক সেবা, স্তব পাঠ, পাঁচবার মন্দির পরিক্রমন, কৃষ্ণকথায় গৌরকথায় নেত্রে জল অার লক্ষবার নাম জপ ইত্যাদি ৷


সেই উৎসবে নরোত্তম ঠাকুর একশত অাটটি তাল বিশিষ্ট ধ্রবপদ কীর্তন প্রচলন করেন এবং মঙ্গল ঠাকুর ও নৃসিংহবল্লভের পঁইতাল্লিশটি তাল বিশিষ্ট মনোহরসাহী কীর্তনের স্বীকৃতি দেওয়া হয় সেখানে ৷ নরোত্তম ঠাকুরের খুব স্নেহধন্য হন নৃসিংহবল্লভ, নৃসিংহবল্লভ সকলকে ময়নাডালে অাসার জন্য অামন্ত্রণ জানান,সেই অামন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নরোত্তম ঠাকুর ও শ্রীনিবাস অাচার্য্য ময়নাডালে এসেছিলেন এবং এখান থেকেই তাঁরা বিষ্ণুপুরে যান ৷

"'(( #বাংলার_কীর্তন_গান গ্রন্থে উল্লেখ অাছে—'মনোহরসাই' গান সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন মত অাছে ৷ প্রথমতঃ ধরা হয় এ গান সৃষ্টি হয়েছে কাটোয়ার নিকটবর্তী অঞ্চলে—শ্রীপাট শ্রীখণ্ড জ্ঞানদাস কাঁন্দরা, জাজীগ্রাম ইত্যাদি এই অঞ্চলের কতিপয় গ্রামকে কেন্দ্র করে ৷ এ অঞ্চলটি 'মনোহরশাহী' নামক পরগণার অন্তর্গত সেজন্যই এ কীর্তনের ধারাকে 'মনোহরসাই' বলে অভিহিত করা হয় ৷ এর মূল স্রষ্টাদের মধ্যে ছিলেন জ্ঞানদাস, রঘুনন্দন অাচার্য, নৃসিংহানন্দ মিত্র ঠাকুর, মঙ্গল ঠাকুর প্রমুখ ব্যাক্তিগণ ৷ এটি খুবই গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত কারণ এর ঐতিহাসিক সমর্থন অাছে ৷


#দ্বিতীয়_মতটিতে বলা হয় মনোহরদাস নামক একজন বিখ্যাত পদরচয়িতা এবং গায়ক যে সঙ্গীতধারা প্রবর্তন করেন তারই নাম মনোহরশাহী গান ৷ কিন্তু মনোহরদাসের পদসংখ্যা খুবই অল্প, তা ছাড়া কীর্তনীয়াদের মৌলিক ইতিহাসেও মনোহরদাসের তেমন গায়কী কৃতিত্বের মোটেই উল্লেখ নাই ৷ তাই সেই মনোহরদাস কীর্তনের একটি বিশেষ ধারা প্রবর্তন করেছেন তা খুব সুস্পষ্ট নয় বলেই গ্রহণযোগ্যও নয় ৷

'#মনোহরশাহী' নামটি পুথিগত নাম, গায়ক-বাদকগণ যে নাম বলে থাকেন তা হ'ল 'মনোহরসাই' ৷ এ গানের ধারা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে গড়ে উঠলেও ক্রমশঃ বর্ধমানের ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চল ছাড়া বর্তমান মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ইত্যাদি অঞ্চলেও ক্রমশঃ প্রসারলাভ করে ৷ নৃসিংহানন্দ মিত্র ঠাকুর ছিলেন মনোহরসাই গানের একজন প্রবর্তক ৷ (এটি বাংলার কীর্তন গান গ্রন্থের পাতা থেকে তুলে ধরা হল) ))"'



'#মনোহরশাহী' ঘরানায় ময়নাডালের সুর বৈচিত্র-এই সম্বন্ধে স্বনামধন্য কীর্ত্তনীয়া শ্রীমাণিক চাঁদ মিত্র ঠাকুর মহাশয় "সংকীর্তন" পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় যেটি লিখেছেন তা পরবর্তী পর্বে তুলে ধরা হবে ৷

#জয়মহাপ্রভু!"

 
 
 

*#ময়নাডালে_মহাপ্রভু !*




(#সম্পাদনায়_সনংমিত্রঠাকুর)



"(#পর্ব_০৪)"


*#জন্মের_সময়_থেকেই নৃসিংহবল্লভের উপরে মহাপ্রভুর প্রভাব ছিল বলেই নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর সহজাত পারদর্শিতায় সঙ্গীতে বিশেষ করে মহাপ্রভুর নাম কীর্তনে নিজেকে উজাড় করে সুখ পেতেন।*

যেমন—

*#ব্রজনন্দকি_নন্দন_নীলমণি। হরিচন্দন-তিলক ভালে বনি ॥*

*শিখি-পুচ্ছক বন্ধনী বামে টলি ৷

ফুল-দাম নেহারিতে কাম ঢলি ॥

অতি কুঞ্চিত কুন্তল লম্বি চলি ৷

মুখ-নীল-সরোরুহ বেড়ি অলি ॥

ভুজ-দণ্ডে বিখণ্ডিত হেম-মণি ৷

নব-বারিদ-বিদ্যুত স্থির জনি ॥

অতি চঞ্চল লম্বিত পীত ধটি ৷

কল-কিঙ্কিনী-সংযুত ক্ষীণ কটী॥

পদ নূপুর বাজত পঞ্চরসে ৷

কিবা বেণু বেয়াপিত দিগদশে ॥

যোগী যোগ ভুলে মুনি-ধ্যান টলে৷

ধায় কামিনী কানন তেজি কুলে॥

গজ-সর্প-সঞে গিরিরাজ চলে ৷

সুখ রূপ ভুবিরুহ পুষ্প ফলে ॥

সুরাসুর লজ্জিত শান্তমনে ৷

পদ-সেবক দেব নৃসিংহ ভণে ॥*


#এটি_নৃসিংহবল্লভ বিরচিত একটি পদ ৷ এই কীর্তনই ছিল তাঁর কাছে সেবারই এক বিশিষ্ট অঙ্গ৷

(( #শ্রদ্ধেয়_ডঃ_বাদল_সাহা

"সংকীর্তন" পত্রিকায় "বাংলার কীর্তনগানে মহাপ্রভুর অবদান ও ময়নাডালের মিত্রঠাকুর বংশের আত্মনিবেদনের পারম্পর্য" প্রবন্ধে লিখেছেন তারই লেখার মধ্যখানের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল—

#কীর্তনগান_একটি সাহিত্যশিল্প ও লোকসাহিত্যের এক শক্তিশালী সদস্য ৷ সঙ্গীতরত্নাকরে বলা হয়েছে—"#গীতবাদ্যং তথা নৃত্যং ত্রয়ং সঙ্গীতমুচ্যতে"৷ গীত-বাদ্য এবং নৃত্য এই তিনের সন্মিলিত রূপই 'সঙ্গীত'৷

#গায়কের মধুর কণ্ঠশ্বর,তাল-লয়,বাদ্যের ঝংকার এবং পদগুলির সুমধুর উচ্চারণ ভঙ্গিমায় গান মরমে প্রবেশ করে শ্রোতা ও দর্শক মনে এক অপার্থিব আনন্দ দান করে ৷ এখানে আছে রূপ ও ভাব,ছবি ও সুর,প্রেমরস ও কাব্য এবং তাল ও আঁখরের বৈচিত্র্য ৷ মানব মনে আনন্দ দানের উদ্দেশ্য, সহিতত্ত্ব এর আদর্শ ৷ রাধাগোবিন্দের লীলাকাহিনী,মানবীয় সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান,বিচ্ছেদ-বেদনা, মিলন-বিরহ আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে ৷ লীলাকথা শুনতে শুনতে শ্রোতা-দর্শক পৌঁছে যায় কাব্য-সাহিত্য-দর্শনের সিংহদুয়ারে ৷ কৃষ্ণকথার অমৃত স্রোতধারায় গণশিক্ষার সড়ক ধরেই এগিয়ে চলে গণচেতনা ৷ সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসার অম্লজানে পরিশুদ্ধ হয়ে সুস্থ সমাজ গঠণে সাহায্য করে ; মানুষ পায় প্রকৃত মানবতার সন্ধান ৷


#এই_কীর্তনগানের

মতো এমন অমূল্য ধন শ্রীচৈতন্যের হাত ধরেই গৌড়ভূমি হতে সারা ভারতে ব্যাপ্ত হয় ৷ আজও পুরীধামে খোল-করতাল সহযোগে যে কীর্তন শোনা যায় তার সূত্রপাত হয় শ্রীচৈতন্যের হাত ধরেই ৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই ঐ গান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৷

*বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরবাসী #শ্রীনিত্যানন্দ_মহাপ্রভু ছিলেন কীর্তন প্রচারের প্রধান সহচর ৷ মহাপ্রভু জানতেন তাঁর এই লীলা সহচরটিই বৈষ্ণব প্রেমধর্ম প্রচারের উপযুক্ত এবং যোগ্য ব্যক্তি ৷*


#তাই_তিনি আদেশ দিলেন— *এতেকে আমার বাক্য যদি সত্য চাও। তবে অবিলম্বে তুমি গৌড়দেশে যাও।।*


*#মূর্খ নীচ পতিত দুঃখিত যত জন। ভক্তি দিয়া কর গিয়া সবার মোচন ৷*


*#নিত্যানন্দপ্রভুর হাত ধরেই সারা বাংলায় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারিত হতে শুরু করল ৷*

*#নিতাই_গুণমণি_আমার নিতাই গুণমণি। আনিয়া প্রেমের বন্যা ভাসাল অবনী ৷।*


#কাল বড় নির্মম,তার বিধানে জন্ম-মৃত্যু,উত্থান ও পতন ৷ সেই বিধানেই একদিন নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মহাপ্রয়াণ ঘটল ৷ এগিয়ে এলেন নিত্যানন্দ-পত্নী জাহ্নবাদেবী ৷ মহান্ত পদে তিনি প্রতিষ্ঠিতা হলেন,তাই স্বাভাবিক কারণেই প্রয়োজন হয়ে পড়ল নব সংগঠনের ৷ এই সময় পরমবৈষ্ণব নরোত্তম ঠাকুর বৃন্দাবন থেকে ফিরে এলেন নিজ গ্রাম "খেতুরীতে" ৷ জাহ্নবাদেবীর নেতৃত্বে, রাজা সন্তোষের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তৎকালীন সারা বাংলার খ্যাতনামা সব বৈষ্ণব পণ্ডিত,সাধক,গায়ক, বাদকদের উপস্থিতিতে একটি ধর্মসন্মেলন অনুষ্ঠিত হল খেতুরিতে ৷ এই সন্মেলনেই প্রথম বিধিবদ্ধ প্রণালীতে লীলাকীর্তনের প্রারম্ভে গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ গাওয়ার রীতি চালু হল,যাকে বলা হয় গৌরচন্দ্রিকা ৷ পরবর্তীকালে গৌরকীর্তনের একটি স্বাতন্ত্র্য পর্যায়ের সূচনা হল ৷ মূলত এগুলি চৈতন্য প্রভাবেরই প্রত্যক্ষ ফল ৷

*#খেতুরীর_বৈষ্ণব সন্মেলনটি বৈষ্ণবধর্ম বিশেষভাবে কীর্তনগানের উপর দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করল ৷*



#নরোত্তম ঠাকুর ছাড়াও এই সন্মেলনে যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের অন্যতম ছিলেন, কান্দরার মঙ্গল ঠাকুরের শিষ্য #নৃসিংহবল্লভ_মিত্র_ঠাকুর,

মঙ্গল ঠাকুরের পৌত্র বদন ঠাকুর, জ্ঞানদাস মনোহর ; শ্রীখণ্ডের রঘুনন্দন প্রভৃতি বৈষ্ণব ভক্তবৃন্দ৷

#মহোৎসব থেকে ফিরে এইসব ব্যক্তিবর্গ নিজ নিজ অঞ্চলের ভাষা, সুর-তাল-লয় সহযোগে কীর্তনগানের আঙ্গিক গঠনের পরিবর্তন ঘটালেন,সৃষ্টি হল নানা ঘরানার ৷ তৎকালে খেতুরী গ্রামটি ছিল গড়েরহাট পরগণার অন্তর্গত,তাই নরোত্তম দাস প্রবর্তিত ঘরানাটির নাম হল *#গড়ানহাটী*৷


#আবার গড়ানহাটী ঘরানার সঙ্গে রাঢ়ের পশ্চিম প্রান্তের সঙ্গীতধারার মেলবন্ধনে সৃষ্টি হল আর একটি নতুন ঘরানার,যার প্রবর্তক *#ময়নাডাল_গ্রামের_মিত্রঠাকুর_বংশের_বিদগ্ধ_বৈষ্ণব_পণ্ডিত_ও_সঙ্গীতসাধক_নৃসিংহবল্লভ_মিত্র_ঠাকুর ৷*

তাঁর গুরুবাড়ি ছিল কান্দরা গ্রামে ৷



#তৎকালে এই গ্রামটি ছিল "মনোহরসাহী" পরগণার অন্তর্গত ৷ নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর প্রবর্তিত এই ঘরানার তাই নামকরণ করা হল *#মনোহরসাহী ৷*


(এ লেখাটি সংকীর্তন পত্রিকা হতে উদ্ধৃত )৷

*#জয়মহাপ্রভু"৷*

 
 
 
Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page