UA-199656512-1
top of page

আর্য্য সমাজের ফেসবুক পণ্ডিতদের সত্য,যারা রাধারানীকে নিয়ে কটুক্তী করে থাকে......

Updated: Sep 19, 2020





ree

আর্যসমাজের কিছু ফেসবুক পণ্ডিত যারা নিজেদের বড় জ্ঞানী ভাবে ,যাদের বলে ফেসবুক ফণ্ডিত,নিজেদের কোন শাস্ত্রীয় জ্ঞান নেই কেবল,ফেসবুকের লেখাকে কপিপেষ্ট করে প্রচার করে এবং কোন শাস্ত্রীয় জ্ঞান না থাকায় অর্থাৎ কোনগুরুকুলে না পড়ায় শাস্ত্রের উল্টোপাল্টা অর্থ করে প্রচার করে , এদের অবস্থা আপনি নিচের পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারবেন ।


আরো কিছু সত্য জেনে রাখুন , আর্য সমাজীরা নিজেদের নামের পিছে বড় বড় টাইদেল লাগায় ষেগুলি কোন শাস্ত্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত নয় ,তারা নিজেদের নামে এগুলি এমনিতেই লাগায়, তথা আর্য সমাজ এগুলি প্রদান করে , তাই এদের টাইটেল দেখে মনে করবেন না যে এরা বড় বিজ্ঞ ।




নিচের সম্পূর্ণ পড়ুন


ক্লাস 1 হতে আরম্ভ করে অনার্স মাষ্টার্স পর্য্যন্ত পড়াশুনা করতে শিক্ষকের প্রয়োজন হয়, টিউশন নিতে হয় নইলে বিদ্যা অর্জন হয়না অথবা আপনি কখনই শিক্ষা লাভ করতে পারবেন না ৷

#কিন্তু বর্তমান কিছু মূর্খগুলি বেদ,পুরানাদি শাস্ত্র কিনে এনে ঘরে বসে নিজে পড়ে এবং বলে পুরানে ভুল, শাস্ত্রে ভুল আছে ৷ এবার বুঝুন যে কেন এমন বলে তারা? কারন তারা কোন গুরু ছাড়াই বা কোন সংস্কৃতজ্ঞের নিকট না পড়েই নিজেকে পণ্ডিত বলে মনে করে এগুলি পড়তে যায় এবং পড়ে , যার জন্য এগুলি কিছুই বোঝেনা ৷ পূর্বে আমাদের গুরুকুল ব্যবস্থা ছিল যেখানে গুরুর নিকট হতেই অর্থাত্ সংস্কৃতজ্ঞের নিকট হতেই এসকল কিছু অধ্যয়ন করতে হত, তারপরেই এ সমস্ত জ্ঞান প্রাপ্তি হত ৷ বর্তমানে যারা ফেসবুকে শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরাধা, পুরানাদি বিভিন্ন শাস্ত্র সম্বন্ধে নানান উল্টোপাল্টা পোষ্ট করে, তাদের জ্ঞান কতটুকু ? এবার আপনিই ভাবুন ৷ তাদের কথা কি বিশ্বাস যোগ্য? কখনই না ৷ কারন তারা নিজে কারো নিকট না পড়েই নিজেই পণ্ডিতগিরি দেখাচ্ছে ৷ তার হল অজ্ঞ ৷ যাদের বলে স্বয়ং ফণ্ডিত 😁


#যেমন 1 হতে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষকের নিকট পড়তে হয় তার পরেই সেই সমস্ত বিষয়ে সমন্ধে ভালভাবে জানা যায় ৷ আপনি যদি আর্টসের ছাত্র হন তবে সাইন্সের বই কিনে নিজে ঘরে পড়ে সাইন্স সম্বন্ধে সব বুঝে যাবেন? ক্যামেষ্ট্রি, ফিজিক্স, উচ্চতর গনিত সব নিজেই শিখে যাবেন বই দেখে? গাইড দেখে? পারবেন তো? নিজেকে প্রশ্ন করুন একবার ৷ উত্তর আসবে সেটা কখনই সম্ভব নয় ৷ তাই ফেসবুকের কিছু পোষ্ট দেখে সেগুলিকে বিশ্বাস কিভাবে করেন? কিভাবে আপনি সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করেন যে কখনই সংস্কৃতজ্ঞের নিকটই পড়েনি? গুরুকুলে পড়েনি?

#কথা হল এটাই যে এরা ফেসবুক ফণ্ডিত ও নিজেদের মস্তবড় জ্ঞানী মনে করে অথচ সংস্কৃত সম্বন্ধে কিছুই জানেনা, সংস্কৃতজ্ঞের নিকট তথা ধার্মিক কোন গুরুর নিকট এরা পড়েনি অর্থাত্ এরা যা বলে সেগুলি এদের মনগড়ন কথা তথা বানোয়াট কথা ৷ শাস্ত্রকে না জেনে না বুঝেই কথা এসব উল্টোপাল্টা কথা বলে ৷ যেমন ফিজিক্স, ক্যামেষ্ট্রিতে সূত্র আছে তাকে বুঝতে হয়, আর সেগুলি বুঝতে গেলে শিক্ষকের প্রয়োজন হয় এবং যে যে বিষয় হয় সেই সেই বিষয়ের শিক্ষকের নিকট হতেই সেই বিষয় জানা যায় ৷ আর্টসের শিক্ষক যেমন কমার্সের বিষয়গুলি পড়াতে পারেনা তথা সাইন্সের বিষয়গুলি পড়াতে পারেনা তেমনি সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত তথা গুরুবিহীন ধর্মাদি শাস্ত্র জানা যায় না ৷ যেমন ক্যামেস্টি, ফিজিক্স, গনিতে সূত্র থাকে তেমনি পুরানাদি শাস্ত্রেও বাক্য রহস্য রয়েছে যা কেবল নিজে পড়লে বুঝবেন না ৷ এর জন্য প্রয়োজন তদ্বিষয়ক গুরু ৷ এর জন্যই গুরুকুলে পূর্বে এ সমস্তকিছু পড়ানো হত ৷


#এই সমস্ত ভ্রান্তবুদ্ধি লোকেরাই অপপ্রচার করছে যাদের সামন্য কোন জ্ঞান নেই, তারা সংস্কৃত জানে না এবং কোন গুরুকুলেও পড়েনি অতএব এসমস্ত বিষয়ে তারা হল অনভিজ্ঞ বা অজ্ঞ যার জন্য তারা ভ্রান্তিই ছড়িয়ে থাকে ৷ তারা নিজেও জানেনা কোনটি সঠিক ৷ কেবল ফেসবুকের লেখা কপি করেই পোষ্ট করে এবং সেটাকেই সত্য মেনে নেয় ৷ তাই এদের বিশ্বাস করবেন না ৷

#যদি নিজে নিজে পড়ে সব কিছু করা যেত তবে স্কুল,কলেজ অধ্যাপকের প্রয়োজন হত কি? তবে কি পূর্বে আমাদের গুরুকুল ব্যবস্থার প্রয়োজন হত?

#তবে তো বাজারে গাইড কিনে সবাই ঘরে পড়েই সবকিছু বুঝে যেত তবে আর শিক্ষকের প্রয়োজন হতো না? তবে আগে আপনি নিজে স্কুলে কলেজে যাওয়া বন্ধ করুন বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউশন নেওয়া বন্ধ করে দিন , প্রমাণ করুন যে শিক্ষক ছাড়াই আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন, তারপর না হয় ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন ৷ যত্তসব উজবুকের দল ৷


#আপনি অবাক হবেন যে সংস্কৃত পাণিনি ব্যাকরণ সম্পূর্ণ পড়তে 12 বছর লেগে যায়, লঘুসিদ্ধান্ত মাত্র এক বছর এর পর মধ্যসিদ্ধান্ত কৌমুদী এর পর সিদ্ধান্ত কৌমুদী এবং তার ভাষ্য ৷ এবার আসি অন্য শাস্ত্র অধ্যায়ন এর কথায়, ভাগবত পুরান যাকে নিয়ে আর্য ও নাস্তিকদের মনগড়া সিদ্ধান্ত ভাগবত পুরানের উপর কমসে কম 100 টি সংস্কৃতে ভাষ্য রচিত হয়েছে যার প্রায় 22 টি বর্তমানে পাওয়া যায়, সেগুলি পড়তে গেলেও কমসে কম 10 বছর তো লাগবেই ৷ এবার ভাবুন ন্যায় শাস্ত্র, বেদান্ত,মীমাংসা,সাংখ্যা, কোষ,ছন্দ,নিরুক্ত,অলংকার,দর্শন,বেদাঙ্গ,এসব শাস্ত্র পড়তে কত সময় লাগতে পারে ? যদি সকল শাস্ত্র এক বারে পড়তে চান তবে কিছুই বুঝবেন না বা আপনাকে এভাবে কেউ পড়াবেই না, আপনাকে ক্রমানুসারে পড়তে হবে ৷

এবার ভাবুন এতকিছু পড়ার পরেই কেউ পণ্ডিত হয় , অর্থাত্ ধর্মচর্চার অধিকারী হয় ৷ অর্থাত্ এমন ব্যক্তিই ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান প্রদান করতে পারে,সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারে ৷

#এবার একবার প্রকৃত পণ্ডিতের কথা ভাবুন আর ফেসবুকে উল্টোপাল্টা যারা লেখে সেই সমস্ত উজবুক,ফেসবুক ফণ্ডিতদের কথা ভাবুন ৷


#এজন্যই বলে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী ৷ এবং গুরুহীন বিদ্যা কেবল বিনাশকারী তথা ভ্রম ছাড়া কিছুই না ৷ তাই শ্রীরাধাকৃষ্ণ তথা পুরানাদি শাস্ত্রের বিরুদ্ধে যারা লেখে বা সনাতনী বিরুদ্ধ কথা লেখে মনে রাখবেন সেগুলি পাষণ্ড ও মূর্খ নম্বর 1 ৷ কোন ধর্মীয় জ্ঞান তাদের নেই ৷ অতএব তাদের কথায় কান দেবেন না ৷ #তাদের বুদ্ধি যে পূর্বেই নষ্ট হয়েছে এটাই জানবেন, এবং গুরুহীন বিদ্যা এবং নিজে নিজে পণ্ডিত হতে গিয়ে সমস্ত বুদ্ধি বিলুপ্ত হয়েছে তথা সে বিভ্রান্তিতে ভ্রমিত হয়েছে ৷ অতএব এ সকল ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করুন তথা এদের কথায় কান দেবেন না ৷ জানবেন এগুলি জ্ঞানবিহীন মূর্খ নাস্তিক ৷


লেখক: পণ্ডিত শ্রীরঘুনাথ দাস শাস্ত্রী ( ব্যাকরণাচার্য্য, বেদান্তবিভাগ,ভাগবত শাস্ত্রী , বেনারস সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় )


#এই পোষ্টটি শেয়ার করুন, সকলকে পাঠান,জাগ্রত করুন সকলকে ৷



Comments


Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page