UA-199656512-1
top of page

বিষ্ণুর দশ অবতার এর দ্বিতীয় অবতার হল ভগবান কূর্ম অবতার। আজ কূর্ম অবতার সম্বন্ধে আলোচনা করব।প্রাচীন কালের কথা দেবতা ও রাক্ষস দের মধ্যে পারস্পারিক মতভেদের কারণে শত্রুতা বেড়ে গিয়েছিল প্রায়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বিবাদ হত।রাক্ষস দের আক্রমণে একবার সব দেব-দেবতাগণ ভীত হয়ে পড়েন।পালাতে পালাতে তারা ব্রহ্মার নিকট উপস্থিত হলেন ব্রহ্মার পরামর্শে তারা সকলে মিলে জগদগুরু নিয়ে প্রার্থনা করা শুরু করলেন।দেব দেবতাদের প্রার্থনায় ভগবান প্রসন্ন হয়ে বললেন হে দেবগণ তোমরা দলের সাথে দেখা করো। তাকে তোমাদের নেতা করে দানব ও দেবতা মিলে সমুদ্র মন্থনের ব্যবস্থা তৈরি করো। এই কথা বলে ভগবান বিষ্ণু অন্তর্ধান হলেন।


ree

এরপর সকল দেবতারা বলি কে নেতা নির্বাচিত করে বাসুকিনাগ কে মন্ত্রী এবং মন্দর পর্বত মন্থন দন্ড বানিয়ে দানব গণের সঙ্গে সমুদ্র মন্থন করা শুরু করলেন যৌথভাবে।সকলে ভীষণ বিব্রত হয়ে পড়লেন শেষে হতাশ হয়ে তারা আবার ভগবান শ্রী হরির সরণ গ্রহণ করলেন। ভগবান তো সবই জানতেন এবং জানেন কারণ তিনি সর্বশক্তিমান।ভগবান হেসে বললেন যে কোন কাজ আরম্ভ করার আগে সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজো করা উচিত তার পূজো না করলে কার্য সিদ্ধি কখনোই হবে না। এই কথা শুনে দেবো তারা গণেশের পুজো করতে শুরু করলেন।একদিকে যখন গণেশের পুজো হচ্ছে তখন আরেক দিকে লীলাময় প্রভু পূর্ব অর্থাৎ রূপ ধারণ করে মন্দর পর্বতকে নিজের পিঠের উপর উঠিয়ে নিলেন। এরপর শুরু শুরু হলো সমুদ্র মন্থন পর্ব। মন্থন করতে করতে অনেক সময় চলে গেল।কিন্তু অমৃত কোনভাবেই উঠলো না তখন ভগবান সহজ হয় নিজের দুই দিকে মন্থন শুরু করলেন সেই মন্থনে উঠল অতি ভয়ংকর বিশ। সেই বিশ ভগবান নীলকন্ঠ তা পান করলেন। (নীলকন্ঠ বলতে শিব কে বোঝানো হয়েছে) এইভাবে কামধেনু, উচ্চৈঃশ্রবা নামের ঘোড়া, ঐরাবত নামক হাতি, কৌস্তুভ মনি, অপ্সরা বৃন্দ, বারুণী, কল্প বৃক্ষ, ভগবতী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর, চন্দ্র, ধনুক ,শঙ্খ, ধন্বন্তরি এবং সর্বশেষে সমুদ্র থেকে ভেসে উঠলো এই অমৃত। কঠিন সময়ের পর চলে আসলো সেই অমৃত। অমৃতের জন্য দানব ও দেবতাগণ দু'পক্ষই তা পান করার জন্য উঠে পড়ল। ফলে সেখানে ঝগড়া বেধে গেল।ভগবান তখন নিজে এক বিচিত্র লীলা করে অমৃত দেবতাদের পক্ষে দিয়ে দেবো তাদের তা দিয়ে দিলেন। অমৃত পান করে দেবতারা অমর হয়ে গেলেন এবং যুদ্ধে তারা বিজয়ী হলেন। বিজয়ী দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর স্তুতি করতে শুরু করলেন। ভগবানের এই দ্বিতীয় রূপ হল      কূর্ম অবতার তখন দেব দেবী কোন ভগবান কূর্ম দেবের স্তুতি করতে শুরু করলেন। তাদের বন্দনায় প্রসন্ন হয় ভগবান বললেন, দেবগন! ভগবানের আশ্রিত হয় অর্থাৎ ভগবানের শরণাগতি নিয়ে যারা কর্ম সম্পাদন করে তাদের দেবতা বলা হয় থাকে। তারাই খাঁটি সুখ-শান্তি ও ঐশ্বর্য এবং অমৃত তত্ত্ব প্রাপ্ত হয় কারণ ভগবান তাদের পুরস্কৃত করেন। কিন্তু যারা অল্প বুদ্ধি সম্পন্ন তারা সবসময় ভগবান থেকে বিমুখ থাকে এবং অহংকার পূর্বক সকল কর্ম করে তারা কখনোই অমৃত লাভ করতে পারে না এটাই হল বিধান। এই কথা বলে ভগবান অন্তর্হিত হয়ে গেলেন। এ ভাবেই ভগবান বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার কূর্ম দেবের আবির্ভাব হয় এবং দেব কুল ও জগতকে রক্ষা করা হয় বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়েছে জলের পরে স্থল এর আবির্ভাব বা সৃষ্টি আমাদের সনাতন সংস্কৃতি ও তাই বলে যে জলের পড়ে এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে স্থল।





লিখেছেনঃ--শ্রীসৈকত কুমার,বরগুনা,বরিশাল,বাংলাদেশ

ree

 
 
 

আজকে আলোচনা করবো মৎস্য অবতার কিভাবে হল বিষ্ণুর দশ অবতার এর ভিতরে মৎস্য অবতার প্রথম আবির্ভাব করে।



ree






পুরাকালে সত্যব্রত নামে এক রাজা বাস করত এক গ্রামে। তিনি পরম ভগবদ্ভক্ত ও উদার প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন। এদিন তিনি কৃত মালা নামে এক নদীতে তর্পণ করছিলেন সেই সময়ে অঞ্জলি ভরা হাতের কোষে একটি ছোট্ট মাছ চলে আসে।মাছটি নিজেকে রক্ষা করার জন্য সত্যব্রত রাজার নিকট আর্তনাদ করতে থাকে। সত্যব্রত রাজা মাছটির আর্তনাদ শুনে তার নিজের হাতের কমুন্ডল এর মধ্যে করে নিজের গৃহে নিয়ে এলেন।ক মন্ডল এর মধ্যে থেকে মাছটি এ তো বড় হয়ে গেল যে তাকে আর সেই পাত্রে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।তারপর মাসটাকে একটি বড় পাত্রে রাখা হলো কিছুদিন পরে মাস্টি আরও বড় হতে লাগলো তাই তাকে ঘরের ভিতরে পাত্রে রাখা খুব বিপদ হয়ে গেল। এইভাবে মাছটি বাড়িতে রাখা যায়না। তাই রাজা সত্যব্রত তাকে নিয়ে সমুদ্রে গেলেন এবং ছেড়ে দেয়ার মন স্থির করলেন। সমুদ্রে মাস্টি কে ছেড়ে দেয়ার সময় মাছটি বলে উঠলো , রাজামশাই!সমুদ্রে তো বিশাল বিশাল প্রজাতির কুমির রয়েছে তারা আমাকে খেয়ে ফেলবে তাই আমাকে সমুদ্রে ছাড়বেন না। মাছের এই কাতর অনুরোধ শুনে রাজার খুব দয়া হল এবং চিন্তা করতে লাগলেন। সবকিছুই সে ভগবানের লীলা তা বুঝতে পারলেন তিনি হাত জোড় করে ভগবানের নিকট প্রার্থনা করতে লাগলেন।

মৎস্য রুপি ভগবান এর এই রূপ প্রকাশ হল ভগবান তার প্রিয় সত্যব্রত রাজাকে বললেন, সত্যব্রত রাজা! আজ থেকে ৭ দিনে এই ত্রি ভুবনের জলরাশিতে পূর্ণ হয় ডুবে যাবে।সেই সময় আমি তোমার কাছে একটা বড় নৌকা পাঠাবো তুমি সমস্ত জীব জন্তু গাছপালা এবং শস্য ও বীজ সহ নানা দ্রব্য নিয়ে সপ্ত ঋষি দের সাথে সেই নৌকাতে উঠবে এবং সেটাতে থাকবে।ভয়ানক ঝড় তুফানে তখন নৌকা আন্দোলিত হবে তখন আমি এই গ্রুপে এসে তোমাদের সবাইকে রক্ষা করব। রাজাকে ভগবান এই কথা বলে অন্তর্ধান হয়ে গেলেন।

অবশেষে সেই দিন চলে আসলো।রাজা সত্যবতীর চোখের সামনেই সমস্ত পৃথিবী জলে ঢুকতে লাগল এবং প্রলয় শুরু হল।সত্যব্রত তখন ভগবানের সেই কথা স্মরণ করে মনে মনে চিন্তিতও হলো এবং সেই গোপন কথা তার মনে পড়ে গেল। সাথে সাথেই তিনি দেখলেন যে ভগবানের বলা সেই নৌকা ও এসে পড়ল।তিনি ভগবানের নির্দেশমতো সমস্ত জীব জন্তু গাছপালা ঋষিগণ ও দরকারি ইত্যাদি বস্তু নিয়ে তাৎক্ষণিক উঠলেন।

সপ্ত ঋষি দের নির্দেশে রাজা সত্যব্রত ভগবানের ধ্যান করতে শুরু করলেন। সেই সময় সেই বিশাল জনসমুদ্রে ভগবান রূপ ধারণ করলে আবির্ভূত হলেন।তারপরে তিনি প্রলয় সমুদ্রে বিহার করতে করতে রাজা সত্যকে জ্ঞান ভক্তির নানা উপদেশ প্রদান করতে শুরু করলেন। হয়গ্রীব নামে এক রাক্ষস ছিল সে গ্রম্মার মুখনিঃসৃত বেদ গুলি চুরি করে পাতালে গিয়ে লুকিয়ে ছিল। ভগবান মৎস্য রুপি সর্বশক্তিমান ভগবান সেই কে বাদ পড়ে সেই বেদ উদ্ধার করেন।

সমগ্র বিশ্বের বড় কারণ ভগবান এর আবির্ভাব এভাবেই হয়েছিল এবং এই জগত কে সে এই শিক্ষা দিয়েছিল।

বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীতে প্রথম জলের উৎপত্তি সনাতন সংস্কৃতিতেও সেটাই বলা হয়েছে এবং হাজার হাজার বছর আগে তা বিভিন্ন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে জল থেকেই যে জগতের সৃষ্টি তা এই মৎস্য অবতার সম্বন্ধে আমরা জানতে পারি এবং তা জেনেছি।



লিখেছেনঃ--শ্রীসৈকত কুমার,বরগুনা,বরিশাল,বাংলাদেশ

ree

 
 
 
Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page