UA-199656512-1
top of page

ree

ছয়জন বৈষ্ণব সাধক ও  সংস্কৃত পন্ডিত। সনাতন গোস্বামী, রূপ গোস্বামী, রঘুনাথ দাস, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ ভট্ট ও জীব গোস্বামী এই ছয়জনকে গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ একত্রে ষড় গোস্বামী নামে অভিহিত করেন। এঁরা কম-বেশি সকলেই চৈতন্যদেবের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করেছেন এবং এঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়ই গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে।




সনাতন গোস্বামী (আনু. ১৪৬৫-১৫৫৫) ছিলেন ন্যায়শাস্ত্রে সুপন্ডিত। তাঁর গার্হস্থ্য জীবনের নাম অমর। গৌড়ের নিকটবর্তী রামকেলি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষগণ ছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় কর্ণাট ব্রাহ্মণ। তিনি বাক্লা চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্গত ফতেয়াবাদ, নবহট্ট বা নৈহাটী এবং মালদহ জেলার রামকেলি এই তিন জায়গায় বসবাস করেন বলে জানা যায়। নৈয়ায়িক  বাসুদেব সার্বভৌম ও সহোদর মধুসূদন বিদ্যাবাচস্পতি ছিলেন তাঁর শিক্ষাগুরু। সনাতন সুলতান হুসেন শাহের রাজদরবারে রাজস্বমন্ত্রী (সাকর মলি­ক) হিসেবে কাজ করতেন; তাই আরবি ও ফারসি ভাষায়ও তিনি সুপন্ডিত ছিলেন বলে মনে করা হয়।

রাজকার্যে নিযুক্ত থাকলেও সনাতনের অন্তরে ছিল বৈরাগ্যভাব। চৈতন্যদেবের বৃন্দাবন গমনকালে (সম্ভবত ১৫১৫ খ্রি) রামকেলিতে তাঁর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর তিনি চাকরি ত্যাগ করেন এবং অল্পকালের মধ্যে শ্রীচৈতন্যের অনুগামী হন। এ সময় থেকেই তিনি সনাতন নামে পরিচিত হন।

চৈতন্যদেব নীলাচলে যাওয়ার পথে কাশীতে দুমাস অবস্থান করেন। সেখানে তিনি সনাতনকে বিভিন্ন তত্ত্বোপদেশ দেন এবং চারটি কার্যের  আদেশ দেন: ১. ভক্তিগ্রন্থ রচনা, ২. ভক্তি ও সদাচার প্রচার, ৩. লুপ্ত তীর্থ উদ্ধার এবং ৪. শ্রীবিগ্রহ সেবা প্রকাশ। এরপর থেকে সনাতন বৃন্দাবনে অবস্থান করেন এবং বৈষ্ণবধর্মকে একটি তাত্ত্বিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। এ সময় তিনি সংস্কৃত ভাষায় নানা গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। সেগুলির মধ্যে বৃহৎ-ভাগবতামৃত, বৃহৎ-বৈষ্ণবতোষিণী (শ্রীমদ্ভাগবতের টীকা), লীলাস্তব, হরিভক্তিবিলাস  ও দিগ্দর্শনী  (টীকা) উল্লেখযোগ্য।




রূপ গোস্বামী (আনু. ১৪৭০-১৫৫৯) ছিলেন সনাতনের অনুজ। রামকেলিতেই তাঁর জন্ম। তাঁর পিতৃদত্ত নাম সন্তোষ, কিন্তু চৈতন্যদেব প্রদত্ত ‘রূপ’ নামেই তিনি সর্বজনবিদিত। রূপও সুলতান হুসেন শাহের দরবারে চাকরি করতেন। তিনি ছিলেন সুলতানের ‘দবির খাস’ (প্রধান সচিব)।

রূপ গোস্বামী বাল্যকাল থেকেই ছিলেন কৃষ্ণভক্ত। চৈতন্যদেব যখন বৃন্দাবন যাচ্ছিলেন তখন রূপ তাঁকে প্রয়াগে দর্শন করেন এবং তাঁর নিকট ভক্তিতত্ত্ব সম্পর্কে শিক্ষালাভ করেন। মহাপ্রভুর নির্দেশে তিনি বৃন্দাবন গিয়ে লুপ্ততীর্থ ও লুপ্ত গোবিন্দবিগ্রহ উদ্ধার করেন এবং কয়েকটি মূল্যবান বৈষ্ণবগ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো: হংসদূত, উদ্ধবসন্দেশ, বিদগ্ধমাধব, ললিতমাধব, দানকেলিকৌমুদী, ভক্তিরসামৃতসিন্ধু, উজ্জ্বলনীলমণি, নাটকচন্দ্রিকা, বিলাপকুসুমাঞ্জলি, উপদেশামৃত, গোবিন্দবিরুদাবলী, অষ্টাদশলীলা, রাধাকৃষ্ণগণোদ্দেশ ইত্যাদি। ষড় গোস্বামীর মধ্যে রূপ গোস্বামীর কবিত্বশক্তি ও পান্ডিত্য অধিক, কেননা তিনি যেসব প্রামাণ্য বৈষ্ণবগ্রন্থ রচনা করেছেন সেসব শুধু সংখ্যা হিসেবেই নয়, কাব্য ও রসবিচারেও উত্তম বলে বিবেচিত হয়। তিনি এসব গ্রন্থে গৌড়ীয় বৈষ্ণবদর্শনের কৃষ্ণতত্ত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে ভক্তিরসের বিশদ আলোচনা এবং মধুরভাবে রাধাকৃষ্ণ-উপাসনা রীতির প্রবর্তন করেন।




রঘুনাথ দাস (আনু. ১৪৯০-১৫৭৭) সপ্তগ্রামের হরিপুর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গৃহ-পুরোহিত বলরাম আচার্যের নিকট শাস্ত্রাধ্যয়ন করেন। বাল্যকাল থেকেই তাঁর মধ্যে বৈরাগ্যের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তিনি হরিদাস ঠাকুরের ব্যক্তিত্ব ও ভক্তিতে মুগ্ধ হয়ে তাঁর সেবা করেন এবং যবন হরিদাসের কৃপাভাজন হন। এসময় চৈতন্যদেবের নাম শুনে তিনি তাঁর চরণে নিজেকে সমর্পণ করেন এবং একদিন গোপনে গৃহত্যাগ করে নীলাচলে তাঁর সঙ্গে মিলিত হন। চৈতন্যদেব তাঁকে স্বরূপ দামোদরের তত্ত্বাবধানে অর্পণ করেন। এজন্য রঘুনাথকে ‘স্বরূপের রঘু’ বলা হতো।

রঘুনাথ ষোলো বছর নীলাচলে ছিলেন। শ্রীচৈতন্য ও স্বরূপ দামোদরের তিরোধানের পর তিনি বৃন্দাবনে রূপ-সনাতনের আশ্রয় গ্রহণ করেন। রঘুনাথ নীলাচল ও বৃন্দাবনে নিত্য জীবনচর্যায় ও প্রসাদ গ্রহণে কঠোর নিয়ম পালন করতেন। তিনি রাধাকুন্ড ও শ্যামকুন্ড উদ্ধার করেন এবং রাধাকুন্ড সংস্কার করে বাকি জীবন সেখানেই অতিবাহিত করেন। শেষ জীবনে তিনি আহার-নিদ্রা বর্জনপূর্বক রাধাকুন্ডের তীরে বসে সর্বদা রাধাকৃষ্ণ নাম জপ করে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন। তাঁর আচরণ ও ভজননিষ্ঠা গোস্বামীদের মধ্যেও অতি বিরল। রঘুনাথ দাস রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো: মুক্তাচরিত, স্তবাবলী, দানচরিত বা শ্রীদানকেলিচিন্তামণি, মনঃশিক্ষা, সুরাবলী, শিক্ষাপটল, শ্রীনামচরিত ইত্যাদি।




গোপাল ভট্ট (আনু. ১৫০০-১৫৮৫)  দক্ষিণ ভারতের অধিবাসী ছিলেন। মুরারি গুপ্তের কড়চা থেকে জানা যায় যে, তাঁর বাল্যকালে চৈতন্যদেব দাক্ষিণাত্য যাওয়ার পথে তাঁদের গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করেন। তখন চৈতন্যদেবের প্রতি তাঁর ভক্তি দেখে পিতা ত্রিমল­ভট্ট (মতান্তরে বেঙ্কক ভট্ট) পুত্রকে চৈতন্যের চরণে সমর্পণ করেন। চৈতন্যদেব তাঁকে আশীর্বাদ করেন এবং তাঁরই আদেশে পিতামাতার সেবান্তে বৃন্দাবনে গিয়ে তিনি অন্যান্য গোস্বামীর সাক্ষাৎ লাভ করেন। চৈতন্যদেব নীলাচল থেকে তাঁর জন্য নিজ কৌপীন ও একটি কাঠের আসন পাঠান। বৃন্দাবনে ‘কাঠের পিড়া’ নামক সেই আসনটি রাধারমণ মন্দিরে এখনও পূজিত হয়। এই মন্দিরের পেছনেই গোপালের সমাধি রয়েছে।

গোপাল সংস্কৃত ভাষা ও দর্শনে সুপন্ডিত ছিলেন। তিনি কৃষ্ণকর্ণামৃত নাটকের শ্রীকৃষ্ণবল্লভা নামে একটি টীকা রচনা করেন। রূপ-সনাতনের মুখে তত্ত্ববিচার শুনে তিনি সূত্রাকারে ষট্সন্দর্ভ  গ্রন্থের একটি কারিকা লেখেন। তাঁর অপর গ্রন্থ সৎক্রিয়াসারদীপিকায় বিবাহাদি চতুর্দশ সংস্কারের বিবরণ আছে। এতে বিভিন্ন বেশ ও বিধির নির্দেশ আছে।  সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ গ্রন্থাগারে গোপাল ভট্টের লেখা দানখন্ড নামে একটি  পুথি (নং ৪২৭) আছে। হরিভক্তিবিলাস নামে অপর একটি গ্রন্থও গোপাল ভট্টের লেখা বলে কথিত হয়, যদিও কারও কারও মতে এটি সনাতনের রচনা, গোপাল পরে এর বিষয়বস্ত্তকে বিস্তৃত করেন।






রঘুনাথ ভট্ট (আনু. ১৫০৬-১৫৮০) বৃন্দাবনের লুপ্ত তীর্থ ও বিগ্রহ উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বর্তমানেও বৈষ্ণব ভক্তগণ যে ৮৪ ক্রোশ বন পরিক্রমা করেন সেগুলি নির্ধারণেও তাঁর অবদান ছিল।

রঘুনাথের পিতার নাম তপন মিশ্র। শ্রীচৈতন্য পূর্ববঙ্গ ভ্রমণে এসে পদ্মার তীরবর্তী রামপুর গ্রামে তপন মিশ্রের আতিথ্য গ্রহণ করেন এবং তখন রঘুনাথকে ভক্তিতত্ত্ব শিক্ষা দেন। রঘুনাথ কাশীতে বিবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি নীলাচলে শ্রীচৈতন্যের লীলা প্রত্যক্ষ করেন। পিতামাতার দেহত্যাগের পর তিনি বৃন্দাবনে যান এবং রূপ-সনাতনের সঙ্গ লাভ করেন। সেখানে তিনি  ভাগবতের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।




জীব গোস্বামী (আনু. ১৫১৪-১৬০৯) ছিলেন রূপ-সনাতনের ভ্রাতুষ্পুত্র। রামকেলিতে তাঁর জন্ম। জীবের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন গৌড়ে অতিবাহিত হয়। পরে নিত্যানন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি নবদ্বীপ যান এবং তাঁর আদেশে কাশীতে পন্ডিত মধুসূদন বাচস্পতির নিকট নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। এখানেই পিতৃব্য রূপ-সনাতনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয় এবং রূপ গোস্বামী তাঁকে বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষা দেন। তাঁদের সান্নিধ্যে জীব জ্ঞানসাধনায় আরও উৎকর্ষ লাভ করেন। তাঁদের তিরোধানের পর জীব গোস্বামী বৃন্দাবনের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দেন। কৃষ্ণমূর্তির বামে রাধামূর্তি বসিয়ে যুগলরূপের পূজা প্রবর্তনে তিনি উৎসাহী ছিলেন।

জীব বাল্যকাল থেকেই শ্রীচৈতন্যের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন; দীক্ষা গ্রহণের পর তাঁর সেই অনুরাগ আরও বৃদ্ধি পায়। চৈতন্য তথা বৈষ্ণবধর্ম তাঁকে মোহিত করে। তিনি বৈষ্ণবধর্ম ও তন্ত্র-বিষয়ক নানা গ্রন্থ ও টীকা-ভাষ্য রচনা করেন। তাঁর রচিত ষট্সন্দর্ভ একটি বিখ্যাত দার্শনিক গ্রন্থ। এতে ছয়টি সন্দর্ভ বা অধ্যায় আছে এবং তাতে বিভিন্ন দার্শনিক তত্ত্ব আলোচিত হয়েছে।

জীব গোস্বামীর আরও কয়েকটি গ্রন্থ হলো: গোপালচম্পূ, হরিনামামৃতব্যাকরণ, ধাতুসূত্রমালিকা, মাধবমহোৎসব, সংকল্পকল্পদ্রুম ও সারসংগ্রহ। এছাড়াও তিনি উজ্জ্বলনীলমণি, ভক্তিরসামৃতসিন্ধু, গোপালতাপনী ও ভাগবতের টীকা রচনা করেন।





 
 
 

रूपगोस्वामी के ग्रन्थों की तालिका

जीव गोस्वामी ने 'लघुवैष्णवतोषणी' में अपने वंश का परिचय देते समय रूप गोस्वामी के ग्रन्थों की एक तालिका दी है, जिसमें इन ग्रन्थों का उल्लेख है-

1. हंसदूत, उद्धव-संदेश और अष्टदश लीला-छन्द नामक 3 काव्य,

2. स्तवमाला, उत्कलिकावली, गोविन्द-विरूदावली और प्रेमेन्दु सागर नामक 4 स्तोत्र-ग्रन्थ,

3. विदग्ध-माधव और ललित-माधव नामक 2 नाटक,

4. दानकेलि नामक 1 भाणिक,

5. भक्तिरसामृतसिन्धु और उज्ज्वल-नीलमणि नामक 2 रस-ग्रन्थ और

6. मथुरा-महिमा, नाटक-चन्द्रिका, पद्यावली और लघुभागवतामृत नामक 4 संग्रह-ग्रन्थ।

परन्तु जीव गोस्वामी ने इस तालिका में रूप गोस्वामी के मुख्य-मुख्य ग्रन्थों का ही उल्लेख किया है। इनके अतिरिक्त उन्होंने अनेक प्रबन्धों, टीकाओं और प्रकीर्ण श्लोकों की रचना की है। उनमें बहुत-सों को जीव गोस्वामी ने उनके 'स्तवमाला' और 'पद्यावली' के अन्तर्गत संग्रहीत कर दिया है। बहुत-सों को आज भी प्रकाशित और समालोचित होने का अवसर नहीं मिला हैं। रूप गोस्वामी के चार और ग्रन्थों का उल्लेख जीव गोस्वामी के शिष्य कृष्णदास अधिकारी की तालिका में पाया जाता है, जिसे नरहरि चक्रवर्ती ने भक्ति रत्नाकर में उद्धृत किया है।[1] वे हैं

(1) कृष्ण जन्म-तिथि विधि,

(2) वृहत्गणोद्देश-दीपिका,

(3) लघुगणोद्देश-दीपिका और

(4) प्रयुक्ताख्यातचन्द्रिका।[2]

नरहरि चक्रवर्ती ने अपनी ओर से रूप कृत अष्टकाललीला-सम्बन्धित ग्यारह श्लोकों का उल्लेख और किया है, जो 'स्मरण मंगल-स्तोत्र' के नाम से जाने जाते हैं। उन्होंने लिखा है कि रूप गोस्वामी ने ग्यारह श्लोक लिखकर कविराज गोस्वामी को दिये और उनका विस्तार कर 'गोविन्द-लीलामृत' लिखने की आज्ञा की। इसकी पुष्टि गोविन्द-लीलामृत के निम्न श्लोक से होती जान पड़ती है, जिसमें कविराज गोस्वामी ने कहा हैं कि उन्होंने गोविन्द-लीलामृत की रचना रूप-दर्शित पथानुसार की है-

श्रीरूप-दर्शिता-दिशा लिखिताष्टकेल्या,

श्रीराधिकेश-कृतकेलिततिर्मयेयम।-23-94

पर साधन-दीपिकाकार राधाकृष्ण दास ने इन श्लोकों का भाष्य करते समय लिखा है कि इनकी रचना कविराज गोस्वामी ने रूप गोस्वामी की आज्ञा से की। साधन-दीपिका में भी उन्होंने यही लिखा है।[3] इसलिए इन श्लोकों के रूपाकृत होने में सन्देह रह जाता है। हम कह चुके है कि जीव गोस्वामी ने लघु-वैष्णतोषणी में रूप गोस्वामी के केवल मुख्य-मुख्य ग्रन्थों की तालिका दी हैं। कविराज गोस्वामी ने भी चैतन्य-चरितामृत में रूप गोस्वामी के भक्तिरसामृतसिन्धु, उज्ज्वल-नीलमणि, ललित-माधव, विदग्ध-माधव आदि प्रधान-प्रधान ग्रन्थों का वर्णन कर लिखा है-

प्रधान-प्रधान किछु करिये गणन।

लक्ष ग्रन्थे कैल व्रजविलास वर्णन॥[4][5]

इससे स्पष्ट है कि जिन ग्रन्थों की तालिका जीव गोस्वामी या कृष्णदास कविराज ने दी हैं, उनके अतिरिक्त बहुत से ग्रन्थों से उन्होंने रचना कीं उनमें से कुछ, जो प्रकाश में आये हैं, उनका उल्लेख श्रीकृष्णदास बाबा द्वारा प्रकाशित उज्ज्वल नीलमणि की भूमिका में किया गया हैं। वे इस प्रकार हैं-

(1) निकुंज-रहस्य-स्तव- श्रीराधागोविन्द के निकुंज विलास के वर्णन में 32 श्लोकों का यह स्तोत्र सर्वोपरि है। श्रीकृष्णदास बाबा ने लिखा हैं कि कुछ लोगों ने अब इसका अन्य सम्प्रदायों के आचार्यों के नाम से प्रचार करने की चेष्टा की हैं।[6] पर श्रीरूप गोस्वामी के समय में ही उनके समसामयिक वंशीवदन ठाकुर ने पयार छन्द-बद्ध भाषा में अनुवाद कर उनके नाम से इसका प्रचार किया है। श्रीनित्यस्वरूप ब्रह्मचारी द्वारा ताड़ाश वाले मन्दिर, वृन्दावन से सम्वत 1959 में बंगाक्षर में इसका प्रकाशन हुआ है। श्रीकृष्णदास बाबा ने देवाक्षर में इसका प्रकाशन किया है।

(2) श्रीकृष्ण चैतन्य महाप्रभो:- सहस्रनाम-स्तोत्र-बंगाब्द 1280 में इसका प्रथम बार श्रीनित्यानन्द दायिनी-नामक पत्रिका में प्रकाशन हुआ। सम्वत 2019 में कृष्णदास बाबा ने देवनागरी में इसका प्रकाशन किया। श्रीरूप गास्वामी ने श्रीरघुनादास गोस्वामी की प्रार्थना पर महाप्रभु चैतन्य देव के सहस्रनामों की रचना की, ऐसा इसमें उल्लेख है।

(3) उज्ज्वल-चन्द्रिका- इसमें श्रीराधिका और ललिता के कथोपकथन के माध्यम से श्रीकृष्ण-प्रेम का वर्णन है। पुष्पिका में रूप गोस्वामी द्वारा रचित होने का उल्लेख है।

(4) श्रीगंगाष्टक- यह श्रीनित्यानन्द प्रभु की कन्या श्रीगंगा देवी का स्तव है। पुष्पिका में रूप गोस्वामी कृत लिखा है।

(5) साधन पद्धति- इसमें 100 श्लोक हैं। गद्य एवं पद्य में इसकी रचना हैं। पुष्पिका में रूप गोस्वामी कृत होने का उल्लेख है।

(6) प्रेमान्धस्तव- इसकी पुष्पिका में भी 'श्रीरूपगोस्वामिविरचित' लिखा हैं।

(7) श्रीराधाष्टक- श्रीरूप गोस्वामी के नाम की पुष्पिका सहित इसका प्रकाशन श्रीनित्यानन्ददायिनी पत्रिका में बंगाब्द 1280 में हुआ है। यह 'स्तवमाला' के राधाष्टक से भिन्न है।

(8) श्रीमन्नवद्वीपाष्टक- इसका प्रकाशन भी नित्यानन्ददायिनी पत्रिका में बंगाब्द 1280 में हुआ है।

(9) उपासना पद्धति- श्रीरूप गोस्वामी के नाम से इसकी एक हस्तलिखित प्रति श्रीपाद गोपी वल्लभपुर के पुस्तकालय में पायी जाती है।

डा. जाना ने मदरास की Govt. Oriental MSS. Library के Triennial Catalogue में चढ़ी कुछ पुस्तकों का उल्लेख किया है, जिनकी पुष्पिका के अनुसार वे रूप 'गोस्वामी के नाम' से आरोपित है।[7] वे हैं-

(1) वैष्णवपूजाभिधानम् (R. No. 3053 a-48)

(2) पंचश्लोकी (R. No. 3053 a-13)

(3) गदाधराष्टक (R. No. 3053 a-68)

(4) एकान्त निकुंजविलास (R. No. 3177 b)

डा. जाना ने ही विभिन्न पुस्तकालयों में या विद्वानों द्वारा तैयार की गयी हस्तलिखित पुस्तकों की सूचियों में पायी जाने वाली कुछ और पुस्तकों के नाम दिये हैं, जिनकी पुष्पिका में रचयिता के रूप में रूप गोस्वामी का नाम है।[8] वे है—

(1) अद्वैत स्तवराज (पानिहाटी ग्रन्थ मन्दिर, पोथी न. 9)

(2) जुगल स्तवराज (कलकत्ता विश्वविद्यालय, संस्कृत विभाग, पोथी न. 456)

(3) अनंग मंजरी स्तोत्र (बराहनगर ग्रन्थ-मन्दिर, पोथी न. स्तोत्र 2 क)

(4) श्रीसनातन गोस्वाभ्यष्टकं (कलकत्ता विश्वविद्यालय, बंगलापुथीशाला, पोथी न. 6616)। निताइसुन्दर पत्रिका (1343 श्रावण, पृ.113) में यह प्रकाशित है।

(5) अष्टकाल स्मरणी (ढाकाविश्व विद्यालय, 1125)।

(6) साधनामृत (A.V. Kathavate’s Report on the Search of Sanskrit MSS. (1904) p. 22, No. 314)

(7) शिक्षा दशक (Rudolf Roth’s Tubingen Catalogue, p. 10)

(8) हरेकृष्ण महामन्त्र निरूपण (Rajendra Lal Mittra’s Notices of Sanskrit Manuscript, LIX, p. 77 No. 2566)

(9) उपदेशामृत

टीका टिप्पणी और संदर्भ

भक्तिरत्नाकर 1/196-199 डा. विमान बिहारी मजूमदार ने इन ग्रन्थों के रूप गोस्वामी द्वारा लिखे जाने पर संदेह व्यक्त किया है (चैतन्य-चरितामृत उ0 पृ. 148-149)। पर डा. जाना ने इस सम्बन्ध में उनके सभी तर्कों को निराधार सिद्ध किया है। (वृ0 छ0 गो0 94-96 साधन-दीपिका, कक्षा 1 चैतन्य-चरितामृत 2/1/37 अर्थात् रूप गोस्वामी ने लक्ष ग्रन्थों की रचना की, जिनमें से प्रधान-प्रधान का ही यहाँ उल्लेख किया गया है। 'लक्ष' ग्रन्थों से मतलब है 'अनेक ग्रन्थ' जिनका सबका उल्लेख करना उन्होंने आवश्यक नहीं समझा। उज्ज्वलनीलमणि, भूमिका पृ. 99 डा. जाना वृन्दावनेर छय गोस्वामी पृ. 135-36 वहीं, प. 134


ree

 
 
 
Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page