UA-199656512-1
top of page



ree

আমাদের পূর্বাচার্য্য গণের সিদ্ধান্ত এটাই প্রথমে সকলকে শাস্ত্রাদি অবশ্যই অধ্যায়ন করতে হবে যদি সেটা না করা হয় তবে তাকে কৃপাশক্তির দ্বারা হলেও সেই বিদ্যাকে অর্জন করতে হবে নইলে সে ব্যক্তি আচার্য্য পদে আসীন হতে পারবে না ৷ শংকরাচার্য পরম্পরা বহুপূর্বের হলেও আজও তাদের নিকট সকল গ্রন্থাবলী বিদ্যামান,তাদের মাঝে প্রচুর বিদ্বান আছে, যারা সকলেই শ্রেষ্ঠ ৷

কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের গৌড়ীয় সম্প্রদায় আজ শিক্ষা হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ৷ আজকাল আচার্য্য তাদের শিষ্যকে বলে পড়াশুনা করবে না এসবের প্রয়োজন নেই ৷

কথাটা কি ঠিক??? কখনই না আমাদের সনাতন গোস্বামীপাদ প্রথমে লঘুহরিনামামৃত ব্যাকরণ লিখেছেন এবং টোল ব্যবস্থা আরম্ভ করান যেখানে বৈষ্ণবদের শাস্ত্রাদি পাঠ করানো হতে পড়ানো হত ৷


পরবর্তীতে জীব গোস্বামী পাদ নিজে লঘুহরিনামামৃতকে বিস্তারিত করে শ্রীহরিনামামৃত নামক ব্যাকরণ লিখেছেন ৷ যেটির একামাত্র উদ্দেশ হল শাস্ত্রাদি অধ্যায়ন,ভজন সম্বন্ধে জানা এবং শাস্ত্রাদি সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান ৷ তিনি টোল স্থাপন করে সমস্ত বৈষ্ণবদের পড়িয়েছেন এবং নিজে বহুবিধ শাস্ত্র লিখেছেন আমাদের সুবিধার জন্য ,পরবর্তীতে এই শ্রোত তথা ধারা চলতে চলতে বলদেব বিদ্যাভূষণ এবং আরো কয়েক পিড়ি খুব সুন্দর ভাবে পরিচালিত হলেও ধীরে ধীরে শিক্ষার ব্যবস্থা তথা টোল আদি সব সমূলে বিনষ্ট হয়েছে এবং বৈষ্ণবসমাজ হতে শিক্ষা প্রায় যায় যায় অবস্থা ৷ গ্রন্থের প্রচুর অভাব গৌড়ীয়দের বর্তমানে ৷ না তো সেগুলির তেমন প্রকাশন হচ্ছে ,না তেমন কেউ পড়তে আগ্রহী এবং এর ফলে ধীরে ধীরে অনর্থ হচ্ছে ৷ শাস্ত্রাদি নিজে নিজে পড়ে নিজেই এখন পণ্ডিতগিরি করছে, নিজেই দিচ্ছে সিদ্ধান্ত, যার জন্য সমাজে আরোও বিকৃতি দেখা দিচ্ছে ৷ কারন না পড়লে সঠিক কথা জানবে কোথা থেকে?

আর না জানলে উল্টাপাল্টা বলবে এটা স্বাভাবিক আর নিজে পড়লেও সেগুলির সঠিক অর্থ সে বুঝবে না তাইতো মহাপ্রভু বললেন -- ভাগবত পড় গিয়া বৈষ্ণব স্থানে ৷ ইহার তাৎপর্য হল ভাগবতাদি শাস্ত্র নিজে পড়লে কখনই সঠিক বুঝবে না অর্থ করতে গিয়ে অনর্থ হবে তাই আচার্য্য যিনি পূর্বে পরম্পরানুসারে পড়েছেন তার কাছে পড়তে বলেছেন, এমন কোন ব্যক্তির কাছে পড়তে বলেননি যিনি নিজে নিজে স্বয়মাপণ্ডিত হয়েছেন ৷

মহাপ্রভুর বাক্যের কিরূপ বিরূপ অর্থ আজকাল করে চলেছে একদল সমাজ, সেটা বলার বাইরে, পণ্ডিত, কুলিন বড়ই অভিমানী তাদরে নাকি ভগবৎ প্রাপ্তি হয়না ৷ এখানে পণ্ডিত বলতে নাস্তিক তথা স্মার্তপণ্ডিতদের কথা বলা হয়েছে বৈষ্ণবপণ্ডিতদের কথা বলা হয়নি ৷ শ্রীজীব গোস্বামীপাদ নিজের ব্যাকরণের পরিশেষে প্রতিজ্ঞা করেছেন যারা ব্যাকরণাদি শাস্ত্রাধ্যয়ন করবে এই জগত ও পরজগতে সেই গোপাল দাসকে ( হরিরদাসকে) আমি নিজে হরির নিকট প্রেরণ করব এবং তার ভগবৎ প্রাপ্তি হবেই 100% ৷ অতএব কেউ যদি বলে যে পণ্ডিতের ভগবৎ প্রাপ্তি হয়না সে একটা মূর্খ ভিন্ন কিছু না ৷ একবার ভাল করে দেখেনিন মহাপ্রভুর পার্ষদগনকে, তাদের সকলেই ছিলেন দিগ্বজ বিদগ্ধ পণ্ডিত কেউ ন্যায়শাস্ত্রে কেই বৈশেষিক,কেউ বেদান্তে কেউ বা অদ্বৈত,কেউ তর্কে,কেই ব্যাকরণে সকলেই ছিলেন ভক্তিবাদে প্রতিষ্ঠিত ৷ তারা সকলে কি ভগবৎ প্রাপ্তি করেনি? তবে তারা কেন অধ্যায়ন করলেন? কেন শাস্ত্রাদি পড়লেন? কেন রচনা করলেন এত গ্রন্থাবলি? যদি তারা গ্রন্থ রচনা না করত আমরা কি জানতে পারতাম ভজন সম্বন্ধে? বুঝতে পারতাম? মহাপ্রভু কে জানতে পারতাম? কখনই পারতাম না কিন্তু আজকালের কিছু অল্পজ্ঞ ব্যক্তি শিক্ষাকে দুচোখে দেখতে পারেনা ৷ তারা কাদের ফলোয়ার বলতে পারেন??? আমাদের গোস্বামীগণ হতে শুরু কর যত আচার্য্য হয়েছেন সকলেই বড় বড় বিদ্বান ছিলেন এবং সকলে ভজনশীল ছিলেন ৷ আজ যদি তারা না থাকতেন গৌড়ীয়গণ আজ কখনই সমাজে ঠাই পেত না ৷ আজ আমরা তাদের ভূলে গেছি, তাদের সিদ্ধান্তকে ভূলে নিজেদের মন মত চলছি, তাদের কথা বলিনা তাদের কথামত চলিনা তাদের সিদ্ধান্তও মানিনা ৷ বলি তাদের সিদ্ধান্ত না মেনে নিজ নিজ মতানুসারে যারা চলে তাদের গোস্বামাগণ উৎপাত বলে উল্লেখ করেছেন, বলেছেন যদিও সে একান্ত ভক্ত হয় তবুও সে উৎপাত ৷ ভগবান তাকে কখনই স্বীকার করেন না ৷


আজ ভক্তি সম্বন্ধে, জানতে চান? ভক্তিরসামৃতসিন্ধুগ্রন্থ না পড়ে কোথা থেকে জানবেন? রাগ মার্গের সম্বন্ধে জানতে চান? উজ্জ্বলনীলমণি পড়তে হবে ৷ ভাগবত সম্বন্ধে জানতে চান গোস্বামীগণের টীকা পড়তে হবে নইলে বুঝবেন উল্টো ৷ আর এসকল কিছুই সংস্কৃতিতে তবে ভাবুন সংস্কৃত জ্ঞানভিন্ন সে কিভাবে শাস্ত্রাদির অধ্যায়ন না করে সমস্ত বিষয়কে জেনে গেল বা সে বিষয়ে পরিপক্ক হল?

যদি বলেন ভজনের দ্বারা তবে জীবগোস্বামীপাদ বলেছেন পড়াশুনা তথা পরম্পরানুসারে অধ্যায়ন করে ভজন করলেই প্রকৃতভাবে ভগবৎ তত্ব জানা যায় পূর্ণরূপে ৷ আর অপরটি হল তীব্রভজনের দ্বারা জানা যায় যেটি ( এককোটি বৈষ্ণবের মধ্যে একজনের দ্বারা সম্ভব) তাই তিনি বলেছেন পরম্পরানুসারে শাস্ত্রাদি অধ্যায়ন করতে ৷ তিনি বলেছেন যে ভগবৎ তত্বই যিনি জানতে পারেন নি তিনি প্রেমাদি লাভ করতে পারনে না বা কৃষ্ণতত্বও জানতেও পারেন না, রাগ মার্গের ভজন সম্বন্ধে তার জ্ঞান হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা ৷

তবে আজ কেন সেই গোস্বামীদের সিদ্ধান্তকে মানা হচ্ছে না? কেন শিষ্যকে পড়ানো হচ্ছেনা বা পড়তে দিচ্ছেনা কি ভয় তাদের?? সত্য জানলে হয়ত গুরুনিষ্ঠা চলে যাবে? ?? যিনি আচার্য্য তিনি সবকিছুর জ্ঞাতা হবেন ,বেদ বিরুদ্ধ কথা বলবেন না,বা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন মতবাদ দিবে না, নিজে বেদের বিরুদ্ধাচারণ করবে না ৷ বেদে যা নিষেধ আছে সেটাকে সে করার অনুমতি দিতে পারবে না ৷ কেবল বেদ নয় পুরাণ,ইতিহাস,পাঞ্চরাত্র, ইত্যাদি শাস্ত্রকে উলঙ্ঘন তিনি যদি করে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দেন তবে সেটা কখনঅ গ্রননযোগ্য হবেনা ৷ সেটা কুমার্গ তথা উৎপাত বলা হয়েছে শাস্ত্রে ৷

#মহাপ্রভুর পার্ষদ্ শ্রীনরহরি সরকার তার #ভজনামৃতে বলেছেন, যে গুরু যদি দূরাভিমানী হয়ে শাস্ত্রের অবজ্ঞা করে নিজের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে এবং সেই সমস্ত অনাচার করতে বলে তবে তদ্গুরু তৎক্ষণাৎ পরিত্যাগ করিবে ৷ গুরু যদি নিজেকে কৃষ্ণসম মনে করে নিজেই শাস্ত্রবিরুদ্ধ বাক্য বলে ও নিজেকে কৃষ্ণসম মনে করে বেদাদি শাস্ত্রের উপরেও কথা বলে তবে সে ত্যাজ্য, সন্নাসী হয়ে স্ত্রীসঙ্গাদি করে বা নিজের ইচ্ছামত কার্য করে তবেও সে ত্যাজ্য ৷এমন গুরু পরিত্যাগে কোন অপরাধ নেই ৷ এই সমস্ত গুরু বারাংবার পরিত্যাজ্য বলে তিনি উল্লেখ করেছেন ৷

#মহাপ্রভুর এই প্রচারিত ধারায় বহু গ্রন্থারাজি বিদ্যামান আছে যেগুলি পূর্বাচার্য্যরা লিখেছেন, সংগ্রহ করেছেন, আজ সেগুলি বিলুপ্তপ্রায় ৷ কেন হচ্ছে এমনটি? এর দায়ভার কাদের? কাদের উচিৎ এগুলি সংরক্ষণের?


আজ গৌড়ীয়দের নিজস্ব ভাগবতরে টীকাদি নেই,নেই গীতারটীকা,নেই বেদান্তভাষ্য,নেই মূলভূত ভক্তিরসামৃতসিন্ধু উজ্জ্বলনীলমণি নেই গৌড়ীয় অভিধান,নেই আরো শতাধিক গ্রন্থ যেগুলি পঠন ভিন্ন কখনই ভজন সম্বন্ধে জানা যাবেনা আর না জানলে ভজন কি করবে??????

আজ নিজে নিজে ঘরে দুই একখান নব্য লেখকের বই পড়েই উঠে যাচ্ছে ব্যাপপীঠে এবং তর্ক করছে শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তির সহিত ৷ যাদের এখনো নার্সারী ক্লাসের ধারনা হয়নি সেই এখন হয়ে গেছে বিরাট আচার্য্য ৷ মহিলাদের ব্যাসপীঠে বসিয়ে কথা করাচ্ছে, 10 বছরের ছেলে সেও পাঠ করছে ৷ একবারও ভেবেছেন তারা কতটুকু অধিকারী? তাদের মধ্যে আপনার মধ্যে কোন ভেদ আছে কি?যেমন আপনিও আচার্য পরম্পরায় পড়েনি তিনিও পড়েনি কিন্তু তিনি ঐ নব্য বই দেখে পড়ে আপনাদের কেবল উপস্থাপন করছে আর আপনার তার বাহবা দিচ্ছেন এতে সে নিজেকে বিরাট কিছু ভেবে নিচ্ছে এবং কদিন পর বিরাট বেশাদি ধারনকরে নিজেকে বিখ্যাত বলে জাহির করাতে চাইছে যা হতে কেবল উৎপাতই সৃষ্টি হচ্ছে ৷ একবারও কি ভেবেছেন মহাপ্রভুর বাক্য? ভাগবত পড় গিয়া বৈষ্ণবের নিকটে??? যদি সে কারো কাছে পড়েই নি তবে কি করে সে আপনাদের বোঝাবে বা সঠিক কথা বলবে???

#একবার ভাবুন জড়জগতের বিদ্যা অর্জন করতে গেলেই কত পরিশ্রম করতে হয় সেই ছোটবেলা নার্সারী হতে স্কুল যেতে হয়, প্রাইভেট পড়তে হয় তার পর পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয় ৷ যখন একটু বড় হবেন তখন সাইন্স,আর্টস,কমার্স আলাদা বিষয় পড়তে হয় সকল বিষয়ের জন্য আলাদা প্রাইভেট পড়তে হয় ৷ বাজারের গাইড বা মূল বই নিজে নিজে পড়ে কি সব বুঝে নেন আপনারা? যদি বুঝে নেন তবে প্রাইভেট কেন পড়েন?? স্কুলে কেন যান সেখানে টিচার এর কাছে কেন পড়েন?

তবে ভাবুন জাগতিক বিদ্যা অর্জন করতে যেয়ে এত পরিশ্রম আর পারমার্থিক বিদ্যাকি অতই সস্তা? যে নিজে নিজে ধর্মগ্রন্থ কিনে ঘরে বসে পড়লেই সেটা বুঝতে পারবেন? কখনই না আপনি সাধারন পাঠের জন্যই এত প্রাইভেট, বা সরকারী স্কুলে টিচার এর কাছে পড়েছেন আর পারমার্থিকের সময় পারমার্থিক বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই সমস্ত শিক্ষক ( আচার্যের) নিকট না পড়েই সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে যাবেন? ??

বলিহারী যাই বাপু !!! আপনারা পারেনও বটে আর কত সমাজকে বোকা বানাবেন ? আর সমাজের লোকও বোকা হচ্ছে এদের দ্বারাই ৷ বাহ্যিক বেশ দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে আর লুটিয়ে পড়ছে তার চরণে ৷৷ #মহাপ্রভুর পার্ষদ চৈতন্যদাস তার চৈতন্যকারিকা তে বলেছেন বেশ দেখেই কলিতে সাধুর বিচার হবে অল্পজ্ঞ লোক, শাস্ত্রবিরোধি কথাবার্তা বলবে যারা সহজে নিয়ম পালনের বিধান দেবে তারাই হবে বিখ্যাত সিদ্ধ আচার্য ৷


তাই কখনো আত্মচিন্তন করুন,ভাবুন বিষয়গুলি ৷

#যাদের শিক্ষা নেই তথা আচার্য্য পরম্পরায় ভাগবতাদি শাস্ত্রের যারা অধ্যায়ন করেনি বা শ্রবণ করেনি তারাই কেবল শাস্ত্রীয় পড়াশুনার বিরোধিতা করে এবং উল্টোপাল্টা ভুংচুং কথাবার্তা বলে ৷

#নিজেদের কুকৃত্য লুকাতে এই হেন উপায় তারা অবলম্বন করে থাকে ৷ এগুলি আমার নয় মহাপ্রভুর পার্ষদ চৈতন্য দাসের কথা ৷

সর্বশেষে বলব মহাপ্রভুর যিনি সাক্ষাৎ বিদগ্ধ পণ্ডিত ছিলেন এবং তার সমস্ত পার্ষদবর্গও ছিলেন বিদ্বান ভজনিষ্ঠ,বৈরাগ্যশীল ৷ তদনুগত বলদেব বিদ্যাভূষণাদি গোস্বামীবর্গ ছিলেন প্রকৃত বিদ্বান,ভজননিষ্ঠ,বৈরাগ্যবান ৷ তাদের সিদ্ধান্তই আমাদের ফলো করা উচিৎ পরবর্তীতে কে কি বলেছে সেগুলি তেমন গ্রহনযোগ্য নয় ৷ গোস্বামীবাক্যের বিরোধী কথাবার্তা কখনই স্বীকার্য্য নয় যদি কেই গুরুপদে আসীন হয়ে এমন বলে তবে ভাববেন তার এটা দূরাভিমান ৷

জয় শ্রীরাধে,জয় শ্রীষড়গোস্বামীবৃন্দ ও তদনুগত সমস্তাচার্য্য বর্গ ,ব্রহ্মমধ্বগৌড়ীয় সম্প্রদায়ের জয়পতাকা নিরন্তর উড়িতে থাকিবে, বারংবার মহাপ্রভুর প্রেরণ করিবেন কাউকে না কাউকে ৷ আমাদের #সর্বপূজ্যগৌড়ীয়সম্প্রাদয়কুলতিলক,গৌড়ীয়জয়পতাকাকে যিনি সর্বত্র উড়াইয়াছেন, যিনি গৌড়ীয় পরম্পরার শ্রেষ্ঠাচার্য্য সেই #শ্রীরামনারায়ণ বিদ্যারত্নের চরণে সকলকিছুই সমর্পণ করিলাম ৷ তার কৃপায় আজি সমস্ত গ্রন্থরাজিকে আমরা পাইতেছি ৷

#আর তার গ্রন্থের লিখিত অনেক কথায় আজ পোষ্টে তুলিয়া ধরেছি ৷ তার আক্ষেপ কেও তুলিয়া ধরেছি ৷ জয় হওক সেই সমস্ত অতন্দ্রপ্রহরীদের যারা গৌড়ীয়ের ঐতিহ্যে তথা গ্রন্থরাজি নির্মাণ করিয়াছেন এবং সংরক্ষণ করিয়াছেন ৷


জয় শ্রীরাধে সকলকে প্রণাম ৷


 
 
 

ree

পরম পুরুষ সাধনের মূল ধৰ্ম্ম, সেই ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করা কি আমার-আমাদিগের কর্ত্তব্য হয় না? অবশ্যই কর্ত্তব্য হয়, যেহেতুক ধৰ্মই এক পরম মিত্র, যিনি মরণ কালে মানুষের সহানুগামী হয়েন ।


যথা তন্ত্রোক্ত প্রমাণ:--


ন পুত্রোপি সহায়ার্থং পিতামাতা চ গচ্ছ। নাপিপৌত্রো নচ জ্ঞাতি ধর্মস্তিষ্ঠতি কেবলং।৷


মনুষ্য সম্বন্ধে ভয়ঙ্কর নিধন কালের সহায়ার্থ পিতা মাতা পুত্র পৌত্র জ্ঞাতি কেহই অনুগামী হয়েনা, কেবল এক ধৰ্মই জীবের সহানুগমন করেন ।



সুতরাং ধৰ্মই পরম পুরুষার্থ ও পরমসুহৃৎ এবং পবিত্র হইতে পরমপবিত্র, যেহেতু ধর্ম্মানুষ্ঠান করলেই চিত্ত পবিত্র হয়, জগৎ সংসারে তদীশ্বর সমস্ত মিষ্ট দ্রব্য হইতে ধর্মকেই এক পরমমিষ্ট বলিয়াছেন, অর্থাৎ ধৰ্ম্ম জনিত মধুর রসাস্বাদনে যদ্রূপ মনের পরিতৃপ্তি হয়, তদ্রুপ আর কোন রসাস্বাদনে হয় না, অতএব ধর্মই সমস্ত নিৰ্ম্মল অখণ্ড সুখের অদ্বিতীয় এক আকর হয়েন। দেখ, ইহলোকে পরলােকে যে যত সুখ সম্ভোগ করুক, কিন্তু ধর্মকেই তাহার মুল বলিয়া মানিতে হয়, এই ধরণীমণ্ডলে নানা উপাদেয় বস্তু জগদীশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট হইয়াছে, তৎ সম্ভোগার্থ ধর্মাবলম্বন করিতে হয়, নচেৎ,তল্লাভের সম্ভাবনা থাকে না, অর্থাৎ হিম শিশির গ্রীষ্ম বা শরদাদিকালে সুদৃশ্য মনোহর নানা বস্তু সন্দর্শনে প্রসঙ্গ চিত্তে আমরা তৎ কর্ম বলিয়া পরমেশ্বরের অনুস্মরণ করি, এবং তচ্চিন্তনে যে অখণ্ড আনন্দকে লাভ করি, তাহারও মূল ধর্ম। অতএব ধর্মের পর আমার-আমাদিগের এমত বন্ধু আর কে আছে? যে অপারণীয় মৃত্যু ভয়ের পারদর্শন করাইয়া অভয় কল্যর্থ পদকে প্রদর্শন করায়। সুতরাং ধর্মকেই আমার-আমাদিগের জীবন স্বরূপ কহিতে হয়। যেহেতু ধর্মনুষ্ঠান পুরুষের জীবিত ও মরণ উভয়কালই বিশুদ্ধ সুখাত্মক হয়। যথা (জীব বা মরণ বা সাধুরিতি) অর্থাৎ সাধু ব্যক্তির জীবন মরণ তুল্য। অচিন্ত্য, নির্বিকার, নিরীহ, নিরঞ্জন, জ্ঞানস্বরূপ, সত্যস্বরূপ, আনন্দস্বরূপ যে ব্ৰহ্ম তাহাকে এক ধৰ্ম্ম দ্বারাই লাভ করা যায়, ঐহিকে ধার্মিক ব্যক্তির কোন ক্লেশ নাই এবং ধৰ্ম্মপ্রভাবে মনুষ্যের কোন উৎপাত জন্ম না।


যথা পুরাণ প্রমাণ--

গৌরেকং পঞ্চ চ ব্যাঘ্রী সিংহী সপ্ত প্রসূয়তে । হিংসকাঃ প্রলয়ং যান্তি ধৰ্ম্মো রক্ষাত ধার্মিকং ৷৷


দেখ, এই পৃথিবীতে গাবী এক পুত্র ব্যাঘ্রী পঞ্চ পুত্র সিংহী সপ্ত পুত্র প্রসব করে কিন্ত হিংসা ধৰ্ম প্ৰভাবে ব্যাঘ্র সিংহেরদের প্রলয় হইয়া ধর্মাবলম্বী গাভীর এক পুত্রেই জগত ব্যপ্তিময় হয়, ফলিতার্থ ধার্মিকের বৃদ্ধি অধাৰ্ম্মিকের বিনাশ হইয়া থাকে।

বিশেষ ব্যাখা:-- ব্যাঘ্র ও সিংহের পাঁচ সাত সন্তান হয় ৷ হিংসক বলিয়া উঁহাদিগের বিনাশ করে এবং তাহার পিতা মাতারও ভক্ষণ করে । নচেৎ এই পৃথিবীতে সিংহ ব্যাঘ্রে পরিপূর্ণ হইত, তদ্রূপ সর্পের অসংখ্য সন্তান জন্মে,কিন্তু তাহার পিতামাতারা তাদের ভক্ষণ করিয়া নিঃশেষ করে ৷ গো জাতিরা ধার্মিক পরহিতৈষী একারণে তাহার বংশে জগৎ পরিপূর্ণ, যদি বল এতদবাক্যের প্রমাণ কি? যেহেতুক এক্ষণে সর্বলোকেই অহারীয় পরোপকারণ বলিয়া গো জাতিকে হিংসা করে ধার্মিক বলিয়া কেহই, দয়া করে না, বিশেষতঃ একালে ম্লেচ্ছমতাবলম্বী হইয়া

প্রায়ই গো হত্যায় নিপুণ হইয়াছে, ইহতে গোজাতির যে প্রলয় নাই কে বলে ? উত্তর, ইহা সত্য, কিন্তু গোজাতি হিংসিত হইয়াও ধৰ্ম্ম-প্রভাবে প্রবৃদ্ধ, দেখ, এই জগৎ ব্যাপ্ত হইয়া গােবৃষেরা নিয়ত জীবের উপকার করিতেছে । অতএব অন্যান্য কর্তৃক হিংসিত হইলেও ধার্ম্মিকের নাশ হয় না, ( ধর্ম রক্ষতি রক্ষত: ধর্মই ধার্মিককে রক্ষা করেন।৷)



সদা নিরন্তর ধর্মের পক্ষেই থাকব, মৃত্যু আসিলেও ভীত নই, মৃত্যু তো বার বার গবে কিন্তু ধর্মের পথে অনড় থাকিয়া ধর্ম করিবার সুযোগ বারা বার মিলিবে না ৷ ভাগবতাদি শাস্ত্র গর্জন করিয়া বলিতেছে #সত্যং পরং ধীমহি---- সত্যের পক্ষে থাকুন, সত্য বলুন, অধর্ম্মের প্রতিবাদ করুন তবেই আপনি একমাত্র পরমপদ লাভ করিতে পারবেন, যিনি অধর্ম দেখিয়ে চুপ করিয় থাকেন, যিনি সত্যের পক্ষ ত্যাগ করিয়া অসত্যের পক্ষ অবলম্বন করেন, যিনি নিন্দাদি ভাবিয়া সত্য বলিতে চাহেন না, যিনি ধর্মকে ত্যাগ করেন, যিনি ধর্মের জন্য নিজ সর্বস্ব ত্যাগ করেন না তার একমাত্র গন্তব্য নরক ৷

#অতএব ধর্মই একমাত্র পালনীয় ৷

 
 
 




ree

আর্যসমাজের কিছু ফেসবুক পণ্ডিত যারা নিজেদের বড় জ্ঞানী ভাবে ,যাদের বলে ফেসবুক ফণ্ডিত,নিজেদের কোন শাস্ত্রীয় জ্ঞান নেই কেবল,ফেসবুকের লেখাকে কপিপেষ্ট করে প্রচার করে এবং কোন শাস্ত্রীয় জ্ঞান না থাকায় অর্থাৎ কোনগুরুকুলে না পড়ায় শাস্ত্রের উল্টোপাল্টা অর্থ করে প্রচার করে , এদের অবস্থা আপনি নিচের পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারবেন ।


আরো কিছু সত্য জেনে রাখুন , আর্য সমাজীরা নিজেদের নামের পিছে বড় বড় টাইদেল লাগায় ষেগুলি কোন শাস্ত্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত নয় ,তারা নিজেদের নামে এগুলি এমনিতেই লাগায়, তথা আর্য সমাজ এগুলি প্রদান করে , তাই এদের টাইটেল দেখে মনে করবেন না যে এরা বড় বিজ্ঞ ।




নিচের সম্পূর্ণ পড়ুন


ক্লাস 1 হতে আরম্ভ করে অনার্স মাষ্টার্স পর্য্যন্ত পড়াশুনা করতে শিক্ষকের প্রয়োজন হয়, টিউশন নিতে হয় নইলে বিদ্যা অর্জন হয়না অথবা আপনি কখনই শিক্ষা লাভ করতে পারবেন না ৷

#কিন্তু বর্তমান কিছু মূর্খগুলি বেদ,পুরানাদি শাস্ত্র কিনে এনে ঘরে বসে নিজে পড়ে এবং বলে পুরানে ভুল, শাস্ত্রে ভুল আছে ৷ এবার বুঝুন যে কেন এমন বলে তারা? কারন তারা কোন গুরু ছাড়াই বা কোন সংস্কৃতজ্ঞের নিকট না পড়েই নিজেকে পণ্ডিত বলে মনে করে এগুলি পড়তে যায় এবং পড়ে , যার জন্য এগুলি কিছুই বোঝেনা ৷ পূর্বে আমাদের গুরুকুল ব্যবস্থা ছিল যেখানে গুরুর নিকট হতেই অর্থাত্ সংস্কৃতজ্ঞের নিকট হতেই এসকল কিছু অধ্যয়ন করতে হত, তারপরেই এ সমস্ত জ্ঞান প্রাপ্তি হত ৷ বর্তমানে যারা ফেসবুকে শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরাধা, পুরানাদি বিভিন্ন শাস্ত্র সম্বন্ধে নানান উল্টোপাল্টা পোষ্ট করে, তাদের জ্ঞান কতটুকু ? এবার আপনিই ভাবুন ৷ তাদের কথা কি বিশ্বাস যোগ্য? কখনই না ৷ কারন তারা নিজে কারো নিকট না পড়েই নিজেই পণ্ডিতগিরি দেখাচ্ছে ৷ তার হল অজ্ঞ ৷ যাদের বলে স্বয়ং ফণ্ডিত 😁


#যেমন 1 হতে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষকের নিকট পড়তে হয় তার পরেই সেই সমস্ত বিষয়ে সমন্ধে ভালভাবে জানা যায় ৷ আপনি যদি আর্টসের ছাত্র হন তবে সাইন্সের বই কিনে নিজে ঘরে পড়ে সাইন্স সম্বন্ধে সব বুঝে যাবেন? ক্যামেষ্ট্রি, ফিজিক্স, উচ্চতর গনিত সব নিজেই শিখে যাবেন বই দেখে? গাইড দেখে? পারবেন তো? নিজেকে প্রশ্ন করুন একবার ৷ উত্তর আসবে সেটা কখনই সম্ভব নয় ৷ তাই ফেসবুকের কিছু পোষ্ট দেখে সেগুলিকে বিশ্বাস কিভাবে করেন? কিভাবে আপনি সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করেন যে কখনই সংস্কৃতজ্ঞের নিকটই পড়েনি? গুরুকুলে পড়েনি?

#কথা হল এটাই যে এরা ফেসবুক ফণ্ডিত ও নিজেদের মস্তবড় জ্ঞানী মনে করে অথচ সংস্কৃত সম্বন্ধে কিছুই জানেনা, সংস্কৃতজ্ঞের নিকট তথা ধার্মিক কোন গুরুর নিকট এরা পড়েনি অর্থাত্ এরা যা বলে সেগুলি এদের মনগড়ন কথা তথা বানোয়াট কথা ৷ শাস্ত্রকে না জেনে না বুঝেই কথা এসব উল্টোপাল্টা কথা বলে ৷ যেমন ফিজিক্স, ক্যামেষ্ট্রিতে সূত্র আছে তাকে বুঝতে হয়, আর সেগুলি বুঝতে গেলে শিক্ষকের প্রয়োজন হয় এবং যে যে বিষয় হয় সেই সেই বিষয়ের শিক্ষকের নিকট হতেই সেই বিষয় জানা যায় ৷ আর্টসের শিক্ষক যেমন কমার্সের বিষয়গুলি পড়াতে পারেনা তথা সাইন্সের বিষয়গুলি পড়াতে পারেনা তেমনি সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত তথা গুরুবিহীন ধর্মাদি শাস্ত্র জানা যায় না ৷ যেমন ক্যামেস্টি, ফিজিক্স, গনিতে সূত্র থাকে তেমনি পুরানাদি শাস্ত্রেও বাক্য রহস্য রয়েছে যা কেবল নিজে পড়লে বুঝবেন না ৷ এর জন্য প্রয়োজন তদ্বিষয়ক গুরু ৷ এর জন্যই গুরুকুলে পূর্বে এ সমস্তকিছু পড়ানো হত ৷


#এই সমস্ত ভ্রান্তবুদ্ধি লোকেরাই অপপ্রচার করছে যাদের সামন্য কোন জ্ঞান নেই, তারা সংস্কৃত জানে না এবং কোন গুরুকুলেও পড়েনি অতএব এসমস্ত বিষয়ে তারা হল অনভিজ্ঞ বা অজ্ঞ যার জন্য তারা ভ্রান্তিই ছড়িয়ে থাকে ৷ তারা নিজেও জানেনা কোনটি সঠিক ৷ কেবল ফেসবুকের লেখা কপি করেই পোষ্ট করে এবং সেটাকেই সত্য মেনে নেয় ৷ তাই এদের বিশ্বাস করবেন না ৷

#যদি নিজে নিজে পড়ে সব কিছু করা যেত তবে স্কুল,কলেজ অধ্যাপকের প্রয়োজন হত কি? তবে কি পূর্বে আমাদের গুরুকুল ব্যবস্থার প্রয়োজন হত?

#তবে তো বাজারে গাইড কিনে সবাই ঘরে পড়েই সবকিছু বুঝে যেত তবে আর শিক্ষকের প্রয়োজন হতো না? তবে আগে আপনি নিজে স্কুলে কলেজে যাওয়া বন্ধ করুন বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউশন নেওয়া বন্ধ করে দিন , প্রমাণ করুন যে শিক্ষক ছাড়াই আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন, তারপর না হয় ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন ৷ যত্তসব উজবুকের দল ৷


#আপনি অবাক হবেন যে সংস্কৃত পাণিনি ব্যাকরণ সম্পূর্ণ পড়তে 12 বছর লেগে যায়, লঘুসিদ্ধান্ত মাত্র এক বছর এর পর মধ্যসিদ্ধান্ত কৌমুদী এর পর সিদ্ধান্ত কৌমুদী এবং তার ভাষ্য ৷ এবার আসি অন্য শাস্ত্র অধ্যায়ন এর কথায়, ভাগবত পুরান যাকে নিয়ে আর্য ও নাস্তিকদের মনগড়া সিদ্ধান্ত ভাগবত পুরানের উপর কমসে কম 100 টি সংস্কৃতে ভাষ্য রচিত হয়েছে যার প্রায় 22 টি বর্তমানে পাওয়া যায়, সেগুলি পড়তে গেলেও কমসে কম 10 বছর তো লাগবেই ৷ এবার ভাবুন ন্যায় শাস্ত্র, বেদান্ত,মীমাংসা,সাংখ্যা, কোষ,ছন্দ,নিরুক্ত,অলংকার,দর্শন,বেদাঙ্গ,এসব শাস্ত্র পড়তে কত সময় লাগতে পারে ? যদি সকল শাস্ত্র এক বারে পড়তে চান তবে কিছুই বুঝবেন না বা আপনাকে এভাবে কেউ পড়াবেই না, আপনাকে ক্রমানুসারে পড়তে হবে ৷

এবার ভাবুন এতকিছু পড়ার পরেই কেউ পণ্ডিত হয় , অর্থাত্ ধর্মচর্চার অধিকারী হয় ৷ অর্থাত্ এমন ব্যক্তিই ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান প্রদান করতে পারে,সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারে ৷

#এবার একবার প্রকৃত পণ্ডিতের কথা ভাবুন আর ফেসবুকে উল্টোপাল্টা যারা লেখে সেই সমস্ত উজবুক,ফেসবুক ফণ্ডিতদের কথা ভাবুন ৷


#এজন্যই বলে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী ৷ এবং গুরুহীন বিদ্যা কেবল বিনাশকারী তথা ভ্রম ছাড়া কিছুই না ৷ তাই শ্রীরাধাকৃষ্ণ তথা পুরানাদি শাস্ত্রের বিরুদ্ধে যারা লেখে বা সনাতনী বিরুদ্ধ কথা লেখে মনে রাখবেন সেগুলি পাষণ্ড ও মূর্খ নম্বর 1 ৷ কোন ধর্মীয় জ্ঞান তাদের নেই ৷ অতএব তাদের কথায় কান দেবেন না ৷ #তাদের বুদ্ধি যে পূর্বেই নষ্ট হয়েছে এটাই জানবেন, এবং গুরুহীন বিদ্যা এবং নিজে নিজে পণ্ডিত হতে গিয়ে সমস্ত বুদ্ধি বিলুপ্ত হয়েছে তথা সে বিভ্রান্তিতে ভ্রমিত হয়েছে ৷ অতএব এ সকল ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করুন তথা এদের কথায় কান দেবেন না ৷ জানবেন এগুলি জ্ঞানবিহীন মূর্খ নাস্তিক ৷


লেখক: পণ্ডিত শ্রীরঘুনাথ দাস শাস্ত্রী ( ব্যাকরণাচার্য্য, বেদান্তবিভাগ,ভাগবত শাস্ত্রী , বেনারস সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় )


#এই পোষ্টটি শেয়ার করুন, সকলকে পাঠান,জাগ্রত করুন সকলকে ৷



 
 
 
Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page