*#রাধাভাবে ভোরা গোরা !* *(#পর্ব_২৩/১চলবে)*
- sanatmitrathakur
- Nov 28, 2020
- 2 min read
*#রাধাভাবে ভোরা গোরা !*
*(#পর্ব_২৩/১)*
#কৃষ্ণনাম_যে_সত্য
সত্যই মহাসাগরের মতই এক অপরিমেয় জলাধার তা আমি মর্মে মর্মে অনুধাবন করতে পেরেছি ৷ কৃষ্ণনামানুকীর্তন করতেই আমার নয়নযুগল হতে বর্ষার বারিধারার মত জলধারা নেমে এসে আমার সর্বাঙ্গ প্লাবিত করে দেয়, তখন সমস্ত জগৎটাই আমার কাছে শূন্য বলে মনে হয় ৷
#পরম_প্রেমিক_ভক্ত
স্বরূপ দামোদর প্রেমাবতার মহাপ্রভুর মুখের এই কথা শেষ হতে না হতেই মহাপ্রভুরই স্বহস্তে লেখা তাৎকালিক ভাবোচিত একটি শ্লোক পড়তে লাগলেন—
"#যুগায়িতং_নিমেষেণ_চক্ষুষা প্রাবৃষায়িতম্ ৷ শূন্যায়িতংজগৎসর্বং গোবিন্দবিরহেণ মে॥" (চৈ;চ;)
#অর্থাৎ
গোবিন্দ বিরহে আমার নিমেষকালও একযুগের ন্যায় দীর্য বলে মনে হচ্ছে ৷ আমার চক্ষু হতে বর্ষার বারিধারার মত অশ্রুবর্ষণ হচ্ছে এবং সমস্ত জগৎ শূন্য বলে মনে হচ্ছে॥"
#মহাপ্রভুর_স্বরচিত এই শ্লোকটি শ্রবণ করতেই অস্বাভাবিক প্রেমোচ্ছাসে নয়ন যুগল হতে অশ্রু ঝরতে লাগল ৷ তা দেখে মহাপ্রভুকে প্রকৃতিস্থ করার জন্য স্বরূপ দামোদর তখন প্রেমমাখা সুর ও স্বরে একটি পদ গাইতে শুরু করলেন—
"#রাধার_কি_হৈল_অন্তরে ব্যথা ৷
বসিয়া বিরলে, থাকয়ে একলে,
না শুনে কাহারু কথা॥
সদাই ধেয়ানে, চাহে মেঘ পানে,
না চলে নয়নের তারা ৷
বিরতি আহারে, রাঙ্গা বাস পরে,
যেন যোগিনীর পারা॥
এলাইয়া বেণী, ফুলের গাঁথনি
দেখয়ে আপন চুলি ৷
হসিত বদনে, চাহে মেঘ পানে
কি কহে দু হাত তুলি॥
এক দিঠি করি, ময়ূরা ময়ূরী
কণ্ঠ করে নিরীক্ষণে ৷
চণ্ডীদাসে কয়, নব পরিচয়
কালিয়া বন্ধুর সনে॥
#পরম_প্রেমিক স্বরূপ দামোদরের সুধামাখা কণ্ঠে কাছুক্ষণ প্রেমমাখা পদটি শ্রবণ করতে করতে প্রেমাবতার মহাপ্রভু তৃপ্ত হলেন ৷ আনন্দে বলতে লাগলেন—কৃষ্ণনাম একদিকে যেমন অপর্যাপ্ত জলাধার , অন্যদিকে তেমনি অখন্ড অনাবিল আনন্দেরও আধার ৷ সেজন্যই কৃষ্ণনাম করতে করতে আমার চোখ দিয়ে যত জল পড়ে, আমি ততোধিক আনন্দ লাভ করে থাকি ৷ এই জগতে নিত্যসুখ, নিত্য আনন্দ আর কোথাও নাই—আছে শুধু একমাত্র সুখময়, আনন্দময়ের চিরানন্দঘন #নামে ৷ এই জগৎ- সংসারে নামই একমাত্র #নিত্যচৈতন্য_আনন্দস্বরূপ ৷ আমি সেই প্রেম রসায়িত নামের মাধ্যমে রসময় রসিক নাগর শ্যামসুন্দরের স্পর্শ সুখ নিত্য অনুভব করে জগজ্জীবকে তার স্বাদ নিতে বারাংবার আহ্বান করে চলেছি ৷ আমার সমগ্র জীবনটাই কৃষ্ণনাম সংকীর্তনের এক মহাযজ্ঞ ৷





Comments