UA-199656512-1
top of page

"*#রাধাভাবে_ভোরা_গোরা ৷*"

"*#সনৎ_মিত্র_ঠাকুর ৷*"

*(#পোষ্ট_নং_০১)*(৭/৭/২০)


"#কৃষ্ণবিচ্ছেদবিভ্রান্ত্যা মনসা বপুষা ধিয়া ৷ যদ্ যদ্ব্যধত্ত গৌরাঙ্গস্তল্লেশঃ কথ্যতেহধুনা ॥"

#অর্থাৎ—শ্রীকৃষ্ণবিরহে

বিভ্রান্ত হয়ে মন, দেহ ও বুদ্ধিদ্বারা শ্রীগৌরাঙ্গ যা যা করেছিলেন, এখন তার কিছু কিছু বলা হচ্ছে ৷


**#জগৎপ্রাণ_মহাপ্রভু জগন্নাথক্ষেত্রে পরমভক্ত কাশীমিশ্রালয়ে একটি ক্ষূদ্র প্রকোষ্ঠে তাঁহার দিব্য জীবনের শেষ বারোটি বছর শ্রীব্রজ-বিরহিণীর

মহাভাবে বিভাবিত হয়ে ক্ষণে ক্ষণে যে অপরূপ লীলামাধুরী আস্বাদন করেছিলেন তাই গম্ভীরালীলা নামে জগদ্বিখ্যাত৷**

*#গম্ভীরালীলা_মহাপ্রভুর এক পরম মধুময় লীলা ৷ এমন মাধুর্যমন্ডিত লীলা কোনকালে হয় নাই বা হইবারও নহে।*



কারণ, এই লীলাতে মহাপ্রভুর দিব্যোন্মাদ দশা যেমন পূর্ণ রূপে প্রকাশিত , তেমন আর কোন যুগে কোন লীলাতেই হয় নাই বা হবেও না ৷ বৈষ্ণবদর্শনের চূড়ান্ত বিষয় যে *রাধাপ্রেম* তাহার চরমতম অভিব্যক্তি একমাত্র এই গম্ভীরা লীলাতেই পূর্ণচন্দ্রের চন্দ্রিমার মত পরিপূর্ণরূপে প্রতিভাত হয়েছে ৷ মহাপ্রভুর গম্ভীরালীলা সত্যসত্যই মহাসাগরের মতই অতীব দুরবগাহ ও গম্ভীর ৷


*#গম্ভীরা_ভিতরে_রাত্র্যে_নাহি_নিদ্রা_লব_৷ #ভিত্ত্যে_মুখ_শির_ঘসে_ক্ষত_হয়_সব_॥* (চৈ; চ; ২/২/৬ )

#সেইকালে_রাতভোর_তিনি

সকরুণ আর্তিতে বিরামবিহীনভাবে কেবল কৃষ্ণনামই কীর্তন করেছেন ৷ এমনকি গম্ভীরার ভিত্তিতে মুখ ঘর্ষণাদি পরম অদ্ভুত প্রেম বিকারের মধ্যেও তিনি শুধু কৃষ্ণনামই কীর্তন করেছেন ৷ আবার গম্ভীরার বাহিরে কখনও হস্তপদ গ্রন্থি শিথিল হয়ে দীর্ঘাকৃতি ধারণ,কখনও মাংসপিন্ডবৎ কূর্মাকৃতি হয়ে যাওয়া, কখনও সমুদ্রে পতন প্রভৃতি সর্বাবস্থাতেই লক্ষ্যণীয় *রাধাভাবাক্রান্ত* ক্রন্দনরত মূর্তি মহাপ্রভুর মুখে শুধুমাত্র কৃষ্ণনামই ধ্বনিত হয়েছে।

এইভাবে *#মহাভাবে*"' বিভাবিত মহাপ্রভু লোক শিক্ষার্থে তাঁহার প্রেম পিপাসার অনন্ত হাহাকার কৃষ্ণনামে শান্ত ও নিবৃত্ত করে স্বমাধূর্য আস্বাদনের সহিত কৃষ্ণনাম সংকীর্তনের মহিমাকেও সমুজ্জ্বল করে তুলেছিলেন ৷



"'মহাপ্রভু"' তাঁর আচরণের মাধ্যমে যেখানে যেভাবেই লীলায়িত হোন না কেন সর্বদা কলিজীব উদ্ধারক মহানাম নিজে আচরণ করে তা জগজ্জীবকে অনুসরণ করিতে বারাংবার প্রলুব্ধ করেছেন ৷ ভাবের রহস্য বোঝা বড়ই কঠিন , শুধু ভাব নয়-মহাভাবের মহাপীঠের মহোত্তম স্মৃতি

*মহাপ্রভুর গম্ভীরালীলা।*"'

~~~~~~~~~~~~~

*#মহাপ্রভুর_গম্ভীরালীলা_সর্বকালের_সর্বশ্রেষ্ঠতম_লীলা_৷*


তাই গম্ভীরালীলা শ্রীভগবানের অনন্তলীলার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম লীলা ৷

*#গম্ভীরা* নামকরণটি যেমন বলা যায়—

*#প্রথমত ;—উৎকলে "'গম্ভীরা"' শব্দে ভিতরের নির্জন গৃহ ৷*

*#দ্বিতীয়ত ;_ভগবৎলীলা যেখানে অত্যন্ত গভীর হইয়াছে সেই স্থানকেও "'গম্ভীরা"' বলা হয়*৷


নীলাচলে কাশী মিশ্রালয়ের সেই অতিক্ষূদ্র গৃহটিতে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের মিলিত বিগ্রহ মহাপ্রভুর নিগূঢ় ভাব মাধূর্য যেহেতু পূর্ণিমা চন্দ্রের চন্দ্রিমার পূর্ণরূপেই প্রস্ফুটিত হয়েছিল। সেইহেতুও বলা যায় সেই গৃহটি "'গম্ভীরা"' ৷


প্রসঙ্গক্রমে এখানে এই শাস্ত্রোক্তিটিও সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য—

*#লীলাতু_গম্ভীরা_যত্র_গম্ভীরা_সা_নিগদ্যতে ৷*

অর্থাৎ যে স্থানে ভগবৎলীলা প্রগাঢ় রূপ পরিগ্রহ করিয়াছে সেই স্থানটিই "গম্ভীরা"৷



*#তৃতীয়ত ;_সহজ কথায় গম্ভীরা লীলার অর্থ "গভীরলীলা"*৷

অর্থাৎ যাহার গভীরতা অতি দুর্জ্ঞেয় ৷ মহাপ্রভু মহাভাবে ভাবিত হয়ে সেই রাধাভাবই আস্বাদন করিয়াছিলেন কাশী মিশ্রালয়ের একটি ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে ৷ ভাবের ঘোরে জ্ঞান শূন্য অবস্থায় প্রেমের প্রাবল্যে তিনি সেখানে কখনও মৃত্তিকায় নাসিকা.কখনও নৃত্য, কখনও উন্মাদবৎ আচরণ ইত্যাকার আরও যে সমস্ত গভীর লীলা প্রকাশ করিয়াছেন তাহাই *গম্ভীরা লীলা* নামে খ্যাত ৷

এতদিন মহাপ্রভু নাম-প্রেম বিতরণ করলেন জীবের জন্য। এখন দ্বাদশ বৎসর অবতারের মূল প্রয়োজন গম্ভীরাতে রাধাভাবে নিজ আস্বাদন- "'শ্রীরাধার প্রেম-মাহাত্ম্য কিরূপ, ঐ প্রেমের দ্বারা শ্রীরাধা আমার যে অদ্ভুত-মাধুর্য আস্বাদন করেন, সেই মাধুর্যই বা কিরূপ এবং আমার মাধুর্য-আস্বাদন করে শ্রীরাধা যে সুখ পান, সেই সুখই বা কিরূপ-এই সমস্ত বিষয়ে লোভ বশতঃ শ্রীরাধাভাবাঢ্য হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র শচীগর্ভসিন্ধুতে আবির্ভূত হলেন ৷


*#চতুর্থত ;_গম্ভীরা অর্থে প্রেমের গভীরতম বা চরমতম অবস্থা বুঝায়।*

*#পঞ্চমত ;—গম্ভীরা অর্থে গভীরতম বা চরমতম বিরহকেও বুঝিতে পারি ৷ কারণ, কৃষ্ণার্থে গভীর আকুলতাই কৃষ্ণপ্রেম প্রবাহিণীতে স্নাত হওয়ার প্রকৃষ্ট পথ ও পন্থা ৷*

ব্রজের অপ্রাকৃত কৃষ্ণানুরাগ, যাহা ব্রজদেবীগণেই বিশেষভাবে প্রকটিত হইয়াছিল, কৃষ্ণ অদর্শনে উন্মাদিনী গোপীগণ বাহ্যদশা হারাইয়া কৃষ্ণ প্রেমসাগরে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করিয়া যে ভাব ও প্রলাপোক্তি প্রকাশ করিয়াছিলেন, গম্ভীরা লীলায় মহাপ্রভু ঠিক সেই মহাভাব সাগরে নিমজ্জিত হইয়া কৃষ্ণবিরহের চরমতম অবস্থা জগজ্জীবকে প্রত্যক্ষ করাইয়া পবিত্র ও ধন্য করিয়াছিলেন ৷

*#গম্ভীরালীলা_বিষয়ে শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে বেশ কয়েকটি পয়ার পরিলক্ষিত হয় ৷*

#যথা—২/২/৬ ,, ৩/১০/৭৯,, ৩/১৭/৮,, ৩/১৯,, ৩/১৯/৫২,, ৩/১৯/৫৫ ,,

#এই_পয়ার গুলিকেই কেন্দ্র করে মহাপ্রভুর গম্ভীরা লীলার কথাটি ক্রমান্বয়ে আজ সমগ্র জগতে পরিব্যাপ্ত হয়েছে ৷

*#শুধুমাত্র_বঙ্গবাসী বা ভারতবাসী নহে, সমগ্র বিশ্ববাসীর পরম আদরণীয় গ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদগীতা*,

আর এই গীতা গ্রন্থখানির একটি বিশেষ জ্ঞাতব্য বিষয় হল—

*পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্ ৷ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥*

*#গোলকাধিপতি সচ্চিদানন্দঘন বিগ্রহ স্বয়ংভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগৎকল্যাণার্থে দিব্য অথচ নরদেহ ধারণ পূর্বক যুগে যুগে আমাদের এই ধূলামাটির পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন ৷ এই ভাবধারাতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বর্তমান কলিযুগের প্রারম্ভে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যমহাপ্রভু রূপে আটশত বিরানব্বই বঙ্গাব্দের ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে নবদ্বীপ মহাতীর্থে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ৷ বিভিন্ন শাস্ত্রবাণীতে এই সত্যই স্পষ্ট ৷*

*#সন্ন্যাস_গ্রহণের_পর মহাপ্রভুু* নীলাচলে এসে কিছুদিন অবস্থানের পরই তীর্থ দর্শনে পদব্রজে সমগ্র দাক্ষিণাত্য ও দক্ষিণে সেতুবন্ধ রামেশ্বর পর্যন্ত, পূর্ব ও পশ্চিমে সমুদ্রকূল পর্যন্ত প্রভৃতি যতস্থানেই ভ্রমণ করেছিলেন, তখন তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত প্রভাবই সকলকে মুগ্ধ করে নামসংকীর্তন রূপ ভক্তিধর্মে প্রবেশ করেছিল ৷ নীলাচলে সার্বভৌম ভট্টাচার্য, বিদ্যানগরে রায় রামানন্দ, দক্ষিণদেশে বেঙ্কট ভট্ট, প্রয়াগে বল্লভ ভট্ট, শ্রীরূপ গোস্বামী, কাশীতে শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীপ্রকাশানন্দ সরস্বতী প্রমুখ তৎকালীন মহাজ্ঞানী ও পণ্ডিতবর্গকে নিজপ্রভাবে অতি সহজে বিশুদ্ধ ভক্তিপথে আনয়ন করে বার বার তিনি তাঁহাদের দ্বারাই জগতে নাম-প্রেম প্রচার করিয়েছিলেন ৷*

*#কৃপাসিন্ধু_মহাপ্রভু এইভাবেই আসমুদ্রহিমাচল বহুস্থানে গিয়ে নামপ্রেম প্রচার করেন এবং বহুস্থানে তাঁহার প্রচারকদের অসীমশক্তি সঞ্চারপূর্বক প্রচার কার্যে নিয়োজিত করেন ৷ অনাদিকাল হইতে অদ্যাবধি কোনযুগে কোনদিন যাহা অর্পিত হয় নাই, সেই উন্নত ও উজ্জ্বলরসময়ী প্রেমসম্পদ ভক্তাভক্ত নির্বিচারে সকলকে বিতরণ করিবার জন্যই জীবনেশ্বর মহাপ্রভু করুণাবশতঃ বর্তমান কলিযুগের প্রারম্ভে এই ভারতভূমিতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।*

*#সাধন_ভজনাদির অপেক্ষা না রেখে মহাপ্রভু এইযুগে যত্র-তত্র যাহাকে-তাহাকে অযাচিত ভাবে সুদুর্লভ ব্রজপ্রেম যেভাবে দান করেছেন, তেমনটি অন্যকোন যুগে বা অন্যান্য স্বরূপের চিন্তন তো বহু দূরের কথা স্বয়ং ব্রজেন্দ্রনন্দন স্বরূপেও প্রকাশ করেন নাই ৷*

*#অপ্রাকৃত_বৃন্দাবনলীলার রসেপূর্ণ গম্ভীরালীলাটির গম্ভীরালীলা রূপ রঙ্গমঞ্চে মহাপ্রভুর দিব্যোন্মাদ ও মহাভাবের লীলাবিলাস রূপ আলোচনার পূর্বে মহাপ্রভুর নিকটস্থ পরিকর কয়েকজনের সম্পর্কে একটু অবগত হওয়া যাক ৷।*

#*_*_*

 
 
 

*#কাঁহা_গেল_কৃষ্ণ_এখনি_পাঁইলু_দর্শন!*


#বিশুদ্ধ_বাতাবরণে নিরিবিলি নির্জনে ভক্ত-ভগবানের মধূর লীলা ৷ শ্রীমন্ মহাপ্রভুর দিব্য "রাধাভাবে বিভোর" প্রসঙ্গে কিঞ্চিৎ ভাবনা রাখতে প্রয়াসী হব ৷ এদিকে গোলকে চাঞ্চল্য, গোলকবিহারীর মনে অস্থিরতা ৷ এদিকে শান্তিপুরে অদ্বৈতাচার্য হাতে গঙ্গাজল-তুলসীপত্র নিয়ে মূহুর্মূহ হুংকার করে চলেছেন, প্রবল হরিনামের মাধ্যাকর্ষণ হরিদাস ঠাকুরের ৷ এদিকে গোলকে গোলকবিহারীকে নিত্যসহচরী গোপিনীরা ঘিরে ধরলে তখন প্রভু বললেন—"আমি শীঘ্রই মর্তে অবতরণ করব,জগতে প্রেম প্রয়োজন ৷" গোপিনীরা বললেন-"ভালো কথা, তুমি আমাদের কাছে ঋণী, মনে আছে ? প্রভু হাসলেন, কিভাবে তা শোধ হবে,তোমরাই বলে দাও ৷" গোপিনীরা বললেন-"মনে আছে তোমার জন্য আমরা যেমন কেঁদেছি,ঠিক তেমনই তোমাকেও কেঁদে কেঁদে ঘরে ঘরে বিলাতে হবে মধুর

কৃষ্ণনাম,আর নিজে কেঁদেও জগৎবাসীকে কাঁদাতে হবে, তবেই জগৎ উদ্ধার পাবে, আমরাও সাথী হব তোমার এই লীলায় ৷" প্রভু সস্মত হলেন,অতঃপর একান্তে প্রভু শ্রীমতীরাধারাণীর সঙ্গে ভয়ে ভয়ে দেখা করে বললেন, রাধে কীভাবে ঋণ শোধ করব ? শুনে শ্রীরাধা বললেন-শোধ করবে তোমার সাধ্য কি ? তবে উপায় একটা আছে , শ্রীরাধার প্রেমে তখন প্রভু ঢলে পড়লেন কোলে,শ্রীমতীরাধা তখন বললেন,"আমার হৃদয় আর কান্তি তুমি ধার নাও, কারণ তোমার পুরুষ হৃদয় দিয়ে কৃষ্ণপ্রেম আস্বাদন হবে না , একমাত্র আমার হৃদয়েই কৃষ্ণপ্রেম উপভোগ্য ৷" আজ ধার নাও,লীলান্তে আবার ফিরিয়ে দিও ৷ প্রভু বললেন-"তাই কি হয়, রাধে ? যথা রাধা তথা কৃষ্ণ, যথা কৃষ্ণ তথা রাধা, বস্তুতঃ এক, কোন ভেদ নেই ৷ তাই বলি চলো এবার নদীয়াতে দুজনে যুগলে অবতীর্ণ হই ৷ শ্রীমতী রাধারাণী সস্মতি দিলেন-"তবে তাই হোক" তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক ৷" তখন গোপিনীরা হাততালি দিয়ে একসঙ্গে বলে উঠলেন—#জয়_রাধা_মাধবের_জয়_হোক৷



অতএব তা-ই হলো ৷ শ্রীরাধার ভাবকান্তি চুরি করে নদীয়ার শ্রীনবদ্বীপধামে শ্রীগৌরচন্দ্র উদিত হলেন ৷ জগৎ আলোকিত হল অপরূপ চন্দ্রচ্ছ্বটায় ৷ হরিগুণগানে ভুবন ভরে উঠল ৷ চাঁদ কাজী,জগাই-মাধাই উদ্ধার হল ৷ গৌরচন্দ্র হলেন চৈতন্যচন্দ্র ৷ দিকে দিকে,ঘরে ঘরে, নাম প্রেম প্রচারিত হল ৷ প্রভু নিত্যানন্দ,অদ্বৈত প্রভু,শ্রীবাস-গদাধর,হরিদাস ঠাকুর,রূপ-সনাতন,স্বরূপ-রামানন্দ আরও লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি গৌরভক্তবৃন্দ ৷ উপলব্ধি হ'লো- প্রথমে নাম, তারপরে প্রেম ; নামের প্রাবল্য প্রথমে,তারপরে নামের ফল প্রেমের উদয় ৷ প্রেম ব্যতীত প্রেমনিধিকে ধরা যায় না ৷ এই নামপ্রেমেই প্রয়োজন জগতের, এই নামপ্রেমই মরুভূমিতে মরূদ্যান ৷ মহাপ্রভুর আবির্ভাব এই নামপ্রেমের জন্যই ৷ মৃদঙ্গ,করতাল সহযোগে নৃত্য-কীর্তন,লম্ফ-ঝম্প,গড়াগড়ি একে একে সব হ'লো, নদীয়া নাম-প্রেমে ডুবু ডুবু,নবদ্বীপ-শান্তিপুর নাম-প্রেমে ভেসে গেল, শ্রীক্ষেত্রে চাঁদের হাট,প্রেমের ঘাট, নাম-সংকীর্তনের

প্রবল সমুদ্রোচ্ছ্বাসে দেশ ভেসে গেল ৷ জগতের প্রয়োজন তো মিটল, এখন নিজের প্রয়োজন ৷ স্বকীয় মাধুর্য আস্বাদন তথা নিজেই ভক্তভ্রমর হয়ে নিজ মধু পান ৷ অদ্বৈতাচার্যও তাঁকে ছুটি করে দিয়েছেন ৷ প্রাণাধিক প্রিয় ঠাকুরহরিদাস বিদায় নিয়েছেন ৷ এখন অবসর, প্রাণের অবসর প্রাণারামের জন্য, ষোল আনাই প্রভুর জন্য অবসর ৷ তাই কাশী মিশ্রালয়ের এই কক্ষে অন্তরঙ্গদের সঙ্গতে শুধুই কৃষ্ণ কথা,লীলা কথা ৷ অন্তর্দশাই শুধুই কৃষ্ণামৃত পান,লীলামৃত পান ৷ শ্রীরাধার মহাভাবে ভাবিত হয়ে,শ্রীরাধার কৃষ্ণপ্রেমে শুধুই শ্রীকৃষ্ণকমলের সহস্রধারায় মধু পান করতে করতে মহাপ্রভু একসময় জগন্নাথে বিলীন হলেন ৷ #রাধাভাবে_ভোরা_গোরা"' অত্যধিক মহাভাব,অত্যদ্ভুত বিকারসমুহ,ভগবৎ-বিরহ ও কৃষ্ণপ্রেমোন্মাদনা সুপরিস্ফুট ৷ #জয়_মহাপ্রভু !"

"#সনৎমিত্রঠাকুর

 
 
 
Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page