UA-199656512-1
top of page

*#রাধাভাবে ভোরা গোরা !* *(#পর্ব_২৩চলবে)*


*#রাধাভাবেভোরাগোরা !*

*(#পর্ব_২৩)*


"#চিন্তাত্র_জাগরোদ্বেগৌ_তানবং

মলিনাঙ্গতা ৷ প্রলাপো ব্যাধিরুন্মাদো মোহো মৃত্যুর্দশা দশ ॥" (চৈ:চ:-৩/১৪/শ্লোক-৪)

#মাথুর_প্রবাসজনিত শ্রীকৃষ্ণবিরহে—চিন্তা, জাগরণ, উদ্বেগ, তানব(কৃশতা), মলিনাঙ্গতা, প্রলাপ, ব্যাধি, উন্মাদ, মোহ ও মৃত্যু—এই দশটি দশা হতে দেখা যায় ৷


#বর্তমান_কলিতে_কৃষ্ণনাম

নিতে নিতে নামীর প্রতি প্রেমোদয় স্বাভাবিক ৷ কলির জীব কৃষ্ণনাম করতে করতে একদিন চরম দশায় পৌঁছবেই ৷ তাই প্রেমের ঠাকুর মহাপ্রভু তাঁর এই গভীর বিরহ পূর্ণ গম্ভীরা লীলাতে কৃষ্ণনাম নিতে নিতেই যে কৃষ্ণে প্রেমোদয় হয় তাও কতভাবে দেখিয়েছেন ৷ গম্ভীরায় রাত্রি জাগরণ করে মহাপ্রভু যে কেবল কৃষ্ণনাম সংকীর্তন করতেন তাহা শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আস্বাদনে বুঝা যায় যেমন দু'একটি পয়ার—

"#সবরাত্রি_মহাপ্রভু_করে জাগরণ ৷ উচ্চ করি করে কৃষ্ণনাম সংকীর্তন ॥"

"#গম্ভীরার_দ্বারে_গোবিন্দ_ করিল শয়ন ৷ সব রাত্রি প্রভু করে উচ্চ সংকীর্তন ॥"


"#প্রেমাবেশে_মহাপ্রভুর_গর_গর মন ৷ নাম সংকীর্তন করে ,বসি করে জাগরণ ॥" (চৈ;চ;)

#গম্ভীরাতে_মহাপ্রভু একদিন কৃষ্ণনাম রসাস্বাদন করছেন—

"#জাতি_জীবন_ধন_কালা ৷

তোমরা আমারে যে বল সে বল

কালিয়া গলার মালা ॥

সই, ছাড়িতে যদি বল তারে ৷

অন্তর সহিত সে প্রেম জড়িত

কে তারে ছাড়িতে পারে॥

যেদিন সেখানে যে সব পিরীতি-

লীলা করয়ে কানু ৷

সঙ্গের সঙ্গিণী হৈয়া রহিনু

শুনিতাম মধুর বেণু॥

এত রূপ নহে হিয়া পরতীত

যাইতাম কদম্বের তলা ৷

চণ্ডীদাস কহে এত প্রাণ সহে

বচন বিষের জ্বালা॥"

#নিত্যদিনের_মতই সেইদিনটিতে গভীর রাতে গম্ভীরায় কৃষ্ণনাম করতে করতে নয়নজলে মহাপ্রভুর সর্বাঙ্গ প্লাবিত হচ্ছে, মহাপ্রভুর সেই ভাব দর্শন করে রামানন্দ রায় ও স্বরূপ দামোদর তড়িঘড়ি করে মহাপ্রভুর কাছে এলেন এবং উত্তরীয়ের দ্বারা মহাপ্রভুর নয়নযুগল মুছিয়ে দিতে দিতে মৃদুমধুর প্রেমগদগদ ভাবে স্বরূপ দামোদর এবং রামানন্দ রায় একসাথে বললেন-

"#প্রভুগো, কৃষ্ণনাম করতে করতে তুমি এত কাঁদ কেন ?"' তোমার নয়ন নির্গত জলধারাতে নিত্যদিনই তো দেখি এইভাবে তোমার সর্বাঙ্গ প্লাবিত হচ্ছে ৷"

#এই_কথায়_মহাপ্রভু ভাবগম্ভীর কণ্ঠে সুমধুর ভাষায় উক্তি করলেন—"#জানিনা কৃষ্ণনামরূপ জলধিতে কত জলই না লুকিয়ে আছে, কৃষ্ণনাম

যে মহাসাগরের মতই এক অগাধ জলাধার তা আমি মর্মে মর্মে অনুধাবন করতে পারছি, কিন্তু জলবিজ্ঞানীগন এই জলের সন্ধান পাবেন না, বা এই জলের কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারবেন না ৷ কারণ, এই তত্ত্ব জানবার মূলে রয়েছে গভীর বিশ্বাস ৷ যেহেতু ভগবদ্ তত্ত্ব বা তত্ত্বজ্ঞান ইন্দ্রিয়বুদ্ধির অতীত সেইহেতু বস্তু বা জড় বিজ্ঞান অবিশ্বাসী দৃষ্টি নিয়ে বৃথা হাতড়িয়ে বেড়াবেন, প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারবেন না ৷ তবে যে কেউ হোন না কেন, সভক্তিচিত্তে অনুসন্ধান করলে তত্ত্বমূর্তি ভগবানই প্রকৃত সত্যকে জিজ্ঞাসুর অন্তরে জাগরূক করবেন ৷"'

 
 
 

Comments


Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page