UA-199656512-1
top of page

#বঙ্গে_নবজাগরণের_নায়ক_চৈতন্যদেব ৷ (#পর্ব_সাত_পোষ্ট_নং_২৩)"


#বঙ্গে_নবজাগরণের_নায়ক_চৈতন্যদেব ৷

(#পর্ব_সাত_পোষ্ট_নং_২৩)"


#শ্রীপাদ_নিত্যানন্দপ্রভুই_বাঙলার_ইতিহাসের_ডিমোক্র্যাট;—

#নিত্যানন্দপ্রভু_জীবকে_এই শিক্ষা দিলেন যে,শ্রদ্ধা করবে, পিতৃদেব ভব, মাতৃদেব ভব, অাচার্যদেব ভব, সকলকে শ্রদ্ধা করবে, ভক্তি করবে ৷ সমান ভাববে জাত-পাতের বেড়া ভেঙে সমাজের বর্ণাশ্রম ধর্ম একপাশে সরিয়ে সকলকে এক ছত্রতলে নিয়ে এসেছিলেন ৷ বিপুল সংখ্যক মানুষের কথা চিন্তা করবে ৷ "যারে তুমি নিচে ফেল, সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে ৷ পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে ৷ দেখিতে পাওনা তুমি ? মৃত্যুদুত দাঁড়ায়েছে দ্বারে ৷ অভিশাপ অাঁকি দিল তোমার জাতির অহঙ্কারে ৷ মৃত্যু মাঝে হবে তব চিতাভস্মে সবার সমান ৷

বস্তুনিষ্ঠতা,বাস্তব ধর্মিতা ৷ লক্ষ্য এবং মোক্ষ দুটিই থাকা চাই সংগঠনে ৷ লক্ষ্য-সব জীবের অাত্যন্তিক মঙ্গলসাধন ৷ নিত্যানন্দ প্রভু তাঁর প্রাণ মন সবকিছুই উৎসর্গ করেছিলেন জীব কল্যাণের নিমিত্ত ৷ এর জন্য অনেকের কটুকথা, নিন্দা, উপহাস এমনকি মার পর্যন্ত খেয়েছিলেন তবুও জীবকল্যাণের সংকল্প থেকে তিনি সরে অাসেননি ৷ নিজের লক্ষ্যে তিনি ছিলেন অবিচল ৷ তাঁর অবাধ ব্যক্তিত্ব, অটুট অাত্মবিশ্বাস ও প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে সকলেই অবনত হয়েছিল ৷ দুষ্ট,দুরাচারী,লুণ্ঠনকারী,মদ্যপায়ী কেউই বাদ গেল না তাঁর উদার সৌহার্দ্য, অহেতুক ভালবাসা ও নিঃস্বার্থ প্রেমের কাছে ৷ সবাই হার মানল এই মানবতাবাদী নিত্যানন্দের কাছে ৷ পরাজিত হল তাঁর ক্ষমার কাছে ৷ " ক্ষমাই "

যে দুনিয়ার সব থেকে বড় অস্ত্র বা সব থেকে বড় দণ্ড তা তিনি নিজ জীবনে প্রত্যক্ষ করে দেখিয়ে দিলেন গণনায়ক নিত্যানন্দ ৷ ক্ষমার দ্বারা মানুষের মনকে যেভাবে বশ করা যায় তেমনটি কোন অস্ত্রের দ্বারা সম্ভব নয় ৷ এর পর মোক্ষ-মানে মুক্তি, এই লক্ষ্যেও নিত্যানন্দ পূর্ণ সফল হয়েছিলেন ৷ মায়িক দেহোপাধি ছেড়ে অাত্মস্বরূপে স্বিতির নাম মুক্তি, সেই স্বরূপে স্থিত হয়ে যুগলের নিষ্কাম সেবা ৷ সাংসারিক ত্রিতাপ জ্বালা থেকে মুক্ত হয়ে শাশ্বত অানন্দ প্রাপ্তির নাম মুক্তি ৷ শ্রেণীহীন,শোষণ হীন সমাজ, প্রথম কে দিয়ে গেল ? অাজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছরেরও অাগে, যখন সমাজে গোঁড়ামি,কুসংস্কারে ভরে গিয়েছিল,নীচু জাতেরা অবহেলিত,অপাংক্তেয় হয়েধর্মান্তরিত হচ্ছিল,সেই যুগসন্ধিক্ষণে এসে নিত্যানন্দ প্রভু ক্ষয়িষ্ণু সনাতন ধর্মকে রক্ষা করেছিলেন,সকলকে বাঁচার মন্ত্র শুনিয়েছিলেন,শুধুমাত্র হরিনাম করলেই মুক্তি ৷ মানুষ মাত্রই সবাই এক,সবাই সমান ৷ এই অধিকার দিল কে ? শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুই দিলেন-সমানভাবে বাঁচার অধিকার,একসাথে খাবার অধিকার ৷ বোঝাপড়া, সামঞ্জস্য,সেকালের গোঁড়া ব্রাহ্মণদের ও নিচুতলার মানুষদের মাঝে সামঞ্জস্য করে একই সারিতে নিয়ে এসেছিলেন সবাইকে ৷ নিত্যানন্দের প্রেমধর্মে সবাই বিভেদ ভুলে একসঙ্গে হরিনাম সংকীর্তন ও পংক্তিভোজন করতেন ৷ সৃষ্টিশীলতা,ভবিষ্যতগ্রাহ্যতা, দুরদর্শিতা, কলির জীব অন্তগত প্রাণ,ধ্যানাদি সাধনে অক্ষম, তাই হরিনাম সাধন দিলেন, কোন বিধি নিষেধ দিলেন না ৷ নাম সাধনে চিত্ত শুদ্ধ হলে, অাপনা-অাপনি বিধি পালন করবে ৷ অাজ সারা বিশ্ব হরিনাম করছে শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর দুরদর্শিতায় ৷

ব্যাকুলতা, শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু জীবের দুঃখে ব্যাকুল হয়ে চেষ্টা করেছিলেন,তাদের উন্নয়নের,তাদের অভাব পূরণের ৷ এই হল দয়াল নিতাই ৷


ডেমোক্রেসী যদি একটা রস হয়, তবে শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর গুণাবলী তার নামই 'অকিঞ্চন সমরস' এবং শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুই বাঙলার ইতিহাসের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ 'ডেমোক্রোট' মহাপ্রভুর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সপ্তদশ শতাব্দীতে বৃন্দাবনের গোস্বামীগণ (শ্রীরূপ,শ্রীসনাতন, শ্রীজীব) প্রচার করেছিলেন-'যুগলরস'-অার ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু প্রচার করেন 'অকিঞ্চন সমরস' ৷ এই দুটি ধারা পর-পর বাঙলায় এসে মিলিত হয়ে মহাপ্রভুর নামাঙ্কাত 'গৌড়ীয়-বৈষ্ণবধর্ম' নামে প্রচারিত হয়েছে ৷ শুধুমাত্র 'যুগলরস' বৈষ্ণবধর্ম নয়, এর সঙ্গে 'অকাঞ্চন সমরস' (পতিত উদ্ধার) থাকতে হবে, নচেৎ 'গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম অসম্পূর্ণ ৷

"জয় নিতাই গৌরহরি"৷

* * * * *

* * *

*

 
 
 

Comments


Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page