"(#পর্ব_নয়_পোষ্টনং২৯)"
- sanatmitrathakur
- Jan 1, 2021
- 2 min read
"(#পর্ব_নয়_পোষ্টনং২৯)"
"এক মহাপ্রভু অার প্রভু দুইজন ৷
দুই প্রভু সেবে মহাপ্রভুর চরণ॥"
একজন মহাপ্রভু তিনি অামাদের শ্রীগৌরাঙ্গসুন্দর,নবদ্বীপে তিনি বিখ্যাত,পরে তিনি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যমহাপ্রভু নামে পরিচিত হন ৷ অার শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু ও শ্রীঅদ্বৈতপ্রভু তাঁরা হচ্ছেন মহাপ্রভুর সেবক ৷
মহাপ্রভুর নাম-প্রেম বিতরণ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর দ্বারাই সাধিত হয়েছে ৷ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু কৃপা করে পরিপূর্ণ কৃষ্ণতত্ত্ব সকলের কাছে বিতরণ করেছেন ৷ যারা পতিত অধম, তাদের একমাত্র ভরসা শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর কৃপা ৷ তাঁরই কৃপায় উদ্ধার হয়েছে জগাই মাধাই, এটি শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর অলংকার ৷ এছাড়াও নিত্যানন্দের গুণ ও কৃপার বিষয়ে নিজের সম্পর্কেও কবিরাজ গোস্বামী তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন;—
"নিত্যানন্দ গুণে লেখায় উন্মত্ত করিয়া ৷ নিত্যানন্দ-প্রভুর গুণ-মহিমা অপার॥"(চৈ,চ,১/৫/২০৯)
"জগাই মাধাই হৈতে মুঞি সে পাপিষ্ট ৷ পুরীষের কীট হইতে মুঞি সে লঘিষ্ট॥ মোর নাম শুনে যেই তার পুণ্যক্ষয় ৷ মোর নাম লয়ে যেই তার পাপ হয়॥ এমন নির্ঘৃণ মোরে কেবা কৃপা করে ৷ এক নিত্যানন্দ বিনু জগৎ-ভিতরে॥ প্রেমে মত্ত নিত্যানন্দ কৃপা অবতার ৷ উত্তম অধম কিছু না করে বিচার॥ যে অাগে পড়য়ে তারে করয়ে নিস্তার ৷ অতএব নিস্তারিলা মো-হেন দুরাচার॥"
(চৈ,চ, ১/৫/১৮৩-১৮৭)
শ্রীনরোত্তম দাসঠাকুরের "নিতাইপদ কমল" প্রার্থনার গাণটি বুঝতে চেষ্টা করি তাহলেই বুঝতে পারব নিত্যানন্দপ্রভুর মহিমা;—
"নিতাই পদকমল
কোটীচন্দ্র সুশীতল
যে ছায়ায় জগত জুড়ায় ৷
হেন নিতাই বিনে ভাই
রাধাকৃষ্ণ পাইতে নাই
দৃঢ় করি ধর নিতাইর পায়॥
সে সম্বন্ধ নাহি যার
বৃথা জন্ম গেল তার
সেই পশু বড় দুরাচার ৷
নিতাই না বলিল মুখে
মজিল সংসার সুখে
বিদ্যা-কুলে কি করিবে তার॥
অহংকারে মত্ত হইয়া
নিতাই পদ পাসরিয়া
অসত্যেরে সত্য করি মানি ৷
নিতাইর করুণা হবে
ব্রজে রাধা কৃষ্ণ পাবে
ধর নিতাইর চরণ দুখানি॥
নিতাইর চরণ সত্য
তাঁহার সেবক নিত্য
নিতাই পদ সদা কর অাশ ৷
নরোত্তম বড় দুঃখী
নিতাই মোরে কর সুখী
রাখ রাঙ্গা চরণের পাশ॥"
শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর কাছে এটিই হচ্ছে শ্রীনরোত্তম দাস ঠাকুরের প্রার্থনা ৷ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর মূল তত্ত্ব সুন্দরভাবে তিনি সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণন করেছেন ৷
জয় নিতাই ৷
"(#পর্ব_নয়_পোষ্টনং২৯)"
"এক মহাপ্রভু অার প্রভু দুইজন ৷
দুই প্রভু সেবে মহাপ্রভুর চরণ॥"
একজন মহাপ্রভু তিনি অামাদের শ্রীগৌরাঙ্গসুন্দর,নবদ্বীপে তিনি বিখ্যাত,পরে তিনি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যমহাপ্রভু নামে পরিচিত হন ৷ অার শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু ও শ্রীঅদ্বৈতপ্রভু তাঁরা হচ্ছেন মহাপ্রভুর সেবক ৷
মহাপ্রভুর নাম-প্রেম বিতরণ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর দ্বারাই সাধিত হয়েছে ৷ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু কৃপা করে পরিপূর্ণ কৃষ্ণতত্ত্ব সকলের কাছে বিতরণ করেছেন ৷ যারা পতিত অধম, তাদের একমাত্র ভরসা শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর কৃপা ৷ তাঁরই কৃপায় উদ্ধার হয়েছে জগাই মাধাই, এটি শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর অলংকার ৷ এছাড়াও নিত্যানন্দের গুণ ও কৃপার বিষয়ে নিজের সম্পর্কেও কবিরাজ গোস্বামী তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন;—
"নিত্যানন্দ গুণে লেখায় উন্মত্ত করিয়া ৷ নিত্যানন্দ-প্রভুর গুণ-মহিমা অপার॥"(চৈ,চ,১/৫/২০৯)
"জগাই মাধাই হৈতে মুঞি সে পাপিষ্ট ৷ পুরীষের কীট হইতে মুঞি সে লঘিষ্ট॥ মোর নাম শুনে যেই তার পুণ্যক্ষয় ৷ মোর নাম লয়ে যেই তার পাপ হয়॥ এমন নির্ঘৃণ মোরে কেবা কৃপা করে ৷ এক নিত্যানন্দ বিনু জগৎ-ভিতরে॥ প্রেমে মত্ত নিত্যানন্দ কৃপা অবতার ৷ উত্তম অধম কিছু না করে বিচার॥ যে অাগে পড়য়ে তারে করয়ে নিস্তার ৷ অতএব নিস্তারিলা মো-হেন দুরাচার॥"
(চৈ,চ, ১/৫/১৮৩-১৮৭)
শ্রীনরোত্তম দাসঠাকুরের "নিতাইপদ কমল" প্রার্থনার গাণটি বুঝতে চেষ্টা করি তাহলেই বুঝতে পারব নিত্যানন্দপ্রভুর মহিমা;—
"নিতাই পদকমল
কোটীচন্দ্র সুশীতল
যে ছায়ায় জগত জুড়ায় ৷
হেন নিতাই বিনে ভাই
রাধাকৃষ্ণ পাইতে নাই
দৃঢ় করি ধর নিতাইর পায়॥
সে সম্বন্ধ নাহি যার
বৃথা জন্ম গেল তার
সেই পশু বড় দুরাচার ৷
নিতাই না বলিল মুখে
মজিল সংসার সুখে
বিদ্যা-কুলে কি করিবে তার॥
অহংকারে মত্ত হইয়া
নিতাই পদ পাসরিয়া
অসত্যেরে সত্য করি মানি ৷
নিতাইর করুণা হবে
ব্রজে রাধা কৃষ্ণ পাবে
ধর নিতাইর চরণ দুখানি॥
নিতাইর চরণ সত্য
তাঁহার সেবক নিত্য
নিতাই পদ সদা কর অাশ ৷
নরোত্তম বড় দুঃখী
নিতাই মোরে কর সুখী
রাখ রাঙ্গা চরণের পাশ॥"
শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর কাছে এটিই হচ্ছে শ্রীনরোত্তম দাস ঠাকুরের প্রার্থনা ৷ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর মূল তত্ত্ব সুন্দরভাবে তিনি সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণন করেছেন ৷
জয় নিতাই ৷
Comments