UA-199656512-1
top of page

কল্কি অবতার ও অপপ্রচার

Updated: Sep 16, 2020

অপপ্রচার :

সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন তত্ত্ব, অবতারতত্ত্ব নিয়ে অপপ্রচার করা হয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ব্লগ, ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহুল প্রচারিত অপপ্রচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ই হলেন কল্কি অবতার।



শাস্ত্র রেফারেন্সের বিকৃত ব্যাখ্যা :


অথর্ববেদ ও ঋকবেদে নরাশংস নামক টার্ম আছে যার অর্থ “প্রশংসিত মানব”। তাদের দাবি এই নরাশংস ই হলো মোহাম্মদ।


১.“ইদং জনা উপ শ্রুত নরাশংস স্তবিষ্যতে ।

ষষ্টি সহস্রা নবতি চ কৌরম আরুশমেষু দদ্মহ ’’।। (অথর্ববেদ ২০/০৯/৩১)


এটি “কুন্তাপ সুক্ত” নামে পরিচিত যার উপলক্ষ “রাজধর্মোপদেশ”।

শ্লোকার্থ: হে মানবগণ সংসারে তারাই প্রশংসিত যারা উত্তম কর্মের সাথে যুক্ত। একজন যথার্থ রাজা এটি বিচার করে অনেক ব্যক্তির মধ্যে থেকে প্রকৃত নেতা/বীরকে চয়ন করে বহু দান দেবে।


এই শ্লোকে কোথাও মোহাম্মদ কে খুঁজে পেলেন? অথচ অপপ্রচারকারীরা এখানে মোহাম্মদ, মোহাম্মদের হিজরত, মরুভূমিতে বাস, উটের পিঠে ওঠা আদি নিদর্শন খুঁজে পেয়েছে।


২. “এষ ইষায় মামহে শতং নিষ্কান দশ স্রজঃ।

ত্রীনি শতান্যর্বতাং সহস্রা দশ গোণাম।।’’(অথর্ববেদ ২০/৯/৩১)


অর্থ: তিনি নিজেও পরিশ্রম করেন এবং পরিশ্রমী জনগণের মধ্যে একশত স্বর্ণমুদ্রা, দশটি মালা, তিনশত ঘোড়া আর দশ হাজার গাভী দান করেন।


এই শ্লোকে উল্লেখিত “মামহে” থেকে তারা ট্রান্সলেট করে “মোহাম্মদ” বের করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ”মামহে” অর্থ ”দান করেন” যা একটি ক্রিয়াপদ


এবার আসি ভবিষ্যপুরানে, সেখানে কল্কিদেবের উল্লেখ রয়েছে।


৩. “জিত্বা গান্ধারজান ম্লেচ্ছানকাশ্মীরান্নারবাঞ্ছঠান্

তেষাং প্রাপ্য মহাকোষং দণ্ডয়ো গ্যানকারয়ৎ

এতস্মিন্নন্তরে ম্লেচ্ছঃ আচার্যেণ সমন্বিতঃ ’’(ভবিষ্যপুরাণ, প্রতিসর্গ পর্ব, ৩য় খণ্ড)


অর্থ: তিনি(কল্কিদেব) আচার্য গণের সহিত গান্ধার (আফগানিস্তান), ম্লেচ্ছ(অবৈদিক ধর্ম অনুসরণকারী), কাশ্মীর ইত্যাদি জয় করে তাদেরদণ্ডদানস্বরুপ বহু কোশ প্রাপ্ত হলেন।


মুহাম্মদ আফগানিস্তান বা কাশ্মীর জয় করেননি।


৪. “নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থলনিবাসিনম

গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতৈ”।।


অর্থ: রাজা ভোজ তখন মরুস্থলনিবাসী মহাদেবকে(শিবকে) গঙ্গাজল, পঞ্চগব্য দ্বারা অর্চনা করে সন্তুষ্ট করলেন।


এখানে স্পষ্ট মহাদেব শিবকে অর্চনা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অপপ্রচারকারীরা মরুস্থলনিবাসী বলতে আরববাসী মোহাম্মদ কে খুঁজে পেয়েছে।


৫. “তৎ শ্রুত্বা পুণ্ডরীকাক্ষো ব্রহ্মাণমিদমব্রবীৎ।

শম্ভলে বিষ্ণুযশসো গৃহে প্রাদুর্ভবাম্যহম্ ।

সুমত্যাং মাতবি বিভো! -কন্যাযাং ত্বন্নিদেশতঃ ।। (কল্কিপুরাণ ১/২/৪)


অর্থঃ পুণ্ডরীকাক্ষ বিষ্ণু সেই কথা শ্রবণ করিয়া ব্রহ্মাকে কহিলেন, তোমার অনুরোধে আমি শম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশা নামক ব্রাহ্মণের গৃহে সুমতিনামক ব্রাহ্মণকন্যার গর্ভে কল্কিরুপে আবির্ভূত হ‌ইব।


যেখানে স্পষ্ট ব্রাহ্মণ উল্লেখ রয়েছে সেখানে তারা বিষ্ণুযশ কে আবদুল্লাহ এবং সুমতি কে আমেনা; গাঁজাখুরি আরবি ট্রান্সলেট করে দিয়েছে।


কল্কিদেবের জন্মতারিখ নিয়ে ভয়ানক মিথ্যাচার করে এই অপপ্রচারকারীর দল।



৬.“দ্বাদশ্যাং শুক্লপক্ষস্য মাধবে মাসি মাধবঃ।

জাতং দদৃশতুঃ পুত্রং পিতবৌ হৃষ্টমানসৌ।।(কল্কিপুরাণ ১/২/১৫)


অর্থ: বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয় দ্বাদশীতে ভগবান বিষ্ণু জন্মগ্রহণ করিলে তাহা দেখিয়া পিতা মাতা হৃষ্টচিত্ত হ‌ইলেন।


তারা বৈশাখ মাসকে বানিয়েছে রবিউল আউয়াল, দ্বাদশীকে বানিয়েছে মাসের ১২তারিখ।

এবার দেখুন হিজরি মাসের সাথে বাংলা মাসের কখনো ম্যাচ হয়না। যাদের বাড়িতে পঞ্জিকা আছে একটু মিলিয়ে দেখুন এবছর(২০২০) হিজরি (১৪৪২) ১২ই রবিউল আউয়াল পড়েছে ১৩ই কার্ত্তিকে আর ঐদিন শুক্লপক্ষের চতুর্দশী।

এবার গভীরে আসুন, তিথি নক্ষত্রের হিসাব সাধারণ দিনের হিসাব থেকে ভিন্ন। দ্বাদশী মানেই যে মাসের ১২তম দিন তা নয়। প্রায়ই দুই তিনটি তিথি একত্র হয়ে যায়। যারা একাদশী করেন তারা জানেন প্রায়‌ই একাদশী দশমী বিদ্ধা অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দশমী, একাদশী, দ্বাদশী একদিনে পড়ে যাকে আমরা ত্রিস্পর্শা মহাদ্বাদশী বলে থাকি।


এবার ১৫নং শ্লোকে যে শম্ভল গ্রামের উল্লেখ রয়েছে তাকে আরবি ট্রান্সলেট করে মক্কা বানিয়ে দিয়েছে। অথচ ভারতের উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ জেলায় শম্ভল নামক গ্রাম রয়েছে সেখানে সুপ্রাচীন কল্কি-বিষ্ণু মন্দিরে চতুর্ভুজ কল্কি ও পদ্মাদেবী পূজিতা হন।


৭.“চতুর্ভিভ্রাতৃভিদেব করিষ্যামি কলিক্ষয়ম্”(কল্কিপুরাণ ১/২/৫)


অর্থ: ভ্রাতৃচতুষ্টয়ের সহিত আমি কলিক্ষয় করিব।


৮.“কল্কের্জ্যেষ্ঠাস্ত্রয়ঃ শূবাঃ কবি প্রাজ্ঞ সুমন্ত্রকঃ।“(কল্কিপুরাণ ১/২/৩১)


অর্থ: কল্কির পূর্বে তাহার জ্যেষ্ঠ তিন ভ্রাতা কবি, প্রাজ্ঞ ও সুমন্ত্র জন্মগ্রহণ করেন।


অর্থাৎ তারা চারভাই(নাম সুস্পষ্ট) মিলে কলির বিনাশ করবেন। অথচ অপপ্রচারকারীরা এই চারভাইকে চার সঙ্গী যথাক্রমে আবুবকর, উমর, উসমান ও আলী বানিয়ে দিয়েছে।


৯.“অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ।

অসিনাসাধুদমনমষ্টৈর্য্যগুণান্বিতঃ।।

বিচরন্নাশুনা ক্ষৌণ্যাং হয়েনাপ্রতিমদ্যুতিঃ।

নৃপলিঙ্গচ্ছদো দস্যুন কোটিশো নিহনিষ্যতি।।“(ভাগবতম ১২/২/১৯-২০)


অর্থ: অষ্টৈশ্বর্য্যসমন্বিত, অতুলনীযয়কান্তি জগদীশ্বর কল্কিদেব দেবদত্তনামক অসাধুদমনকারী দ্রুতগামী অশ্বে ভুমণ্ডল পরিভ্রমণ করিয়া খড়গদ্বারা ছদ্মরাজবেশধারী অসংখ্য দস্যুগণের সংহার সাধন করিবেন।


তারা দাবি করে, মোহাম্মদ ঘোড়ায় চড়ে তরবারি নিয়ে যুদ্ধ করতেন। কিন্তু শুধু ঘোড়ায় চড়ে তরবারি হাতে নিলেই কেউ কল্কিদেব হয়ে যান না। আর তাছাড়া কল্কিদেব তরবারি নয় খড়গ ধারণ করবেন।

শ্লোকের “নৃপলিঙ্গচ্ছদঃ” শব্দের কদর্থ করে তারা বলে “লিঙ্গচ্ছেদকারী”। কিন্তু নৃপ-লিঙ্গ-আচ্ছাদঃ অর্থাৎ যারা রাজার(নৃপ) লিঙ্গ (চিহ্ন/বেশ) আচ্ছাদঃ( আচ্ছাদন/ধারণ করে)। সংস্কৃত না জেনে অর্থ করলে এরকম হয়।


কল্কিদেব মোহাম্মদ নন :

এবার আসুন দেখি কল্কিপুরাণে বর্ণিত কিছু নিদর্শন যা থেকে স্পষ্ট হবে কল্কিদেব কোনোভাবেই মোহাম্মদ নন।


১.“কল্কিদেব জন্মকালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ন্যায় প্রথমে চতুর্ভুজরূপ ও পরবর্তীতে দ্বিভুজ রূপ ধারণ করবেন।“(কল্কিপুরাণ ১/২/১৮-১৯)

২. “পরশুরাম, কৃপাচার্য, ব্যাসদেব ও অশ্বত্থামা তৎকালে ভগবান শ্রীহরির দর্শনে আগমন করেন।“(কল্কিপুরাণ ১/২/২৫)


মুহম্মদের জন্ম ইতিহাসে এধরনের তথ্য পাওয়া যায় না ।


৩. “কুমার কল্কিকে বিদ্যাশিক্ষার উপযুক্ত দেখিয়া বিষ্ণুযশ কহিলেন বৎস, এক্ষণে তোমাকে উপনয়নরূপ ব্রহ্মসংস্কার সম্পাদন করিয়া গায়ত্রী মন্ত্র উপদেশ দিব। তারপর তুমি বেদাধ্যয়ন করিবে।“(কল্কিপুরাণ ১/২/৩৪-৩৫)


অপপ্রচারকারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করবেন গায়ত্রী মন্ত্র কি জিনিস? আর মোহাম্মদ বেদাধ্যয়ন করেছিল কবে ? তাছাড়া দেখা যাচ্ছে তৎকালে তার পিতা জীবিত ছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদের জন্মের পূর্বেই তার পিতা মারা গিয়েছিলেন।


৪.“সাধুনাথ কল্কি এইরূপ পিতৃবাক্য শ্রবণ করিয়া পিতা ও ব্রাহ্মণ কর্তৃক উপনিত হ‌ইয়া গুরুকুলে গমন করিলেন।“(কল্কিপুরাণ ১/২/৪৭-৪৮)


মোহাম্মদ আজন্ম নিরক্ষর ছিলেন, লিখতে পড়তে পারতেন না, কোরান লিখতো তার সাহাবীরা। সুতরাং গুরুকুলের টপিক ও ম্যাচ করল না।


৫.“অনন্তর কল্কি মহেন্দ্র পর্বতে পরশুরামের আশ্রমে বেদাধ্যয়ন ও শস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করতে গমন করলেন।“(কল্কিপুরাণ ১/৩/১-৫)


মোহাম্মদ পরশুরামের আশ্রমে যাননি ।


৬. “তিনি মঙ্গলময় মহেশ্বর শিবকে যথাবিধানে পূজান্তে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করিলেন ও হৃদয়মধ্যে শিব ধ্যান করিতে লাগিলেন।“(কল্কিপুরাণ ১/৩/১৩)


মোহাম্মদ শিবের ধ্যান করতেন এরকম কিছু জানা যায়না।


৭.“ সিংহলে(শ্রীলঙ্কা) কল্কিরূপী স্বয়ং বিষ্ণু লক্ষ্মীতুল্যা পদ্মার স্বয়ংবরে উপস্থিত হ‌ইয়া তাঁর পাণিগ্রহণ করবেন।“(কল্কিপুরাণ ১/৫/১-৬)


মোহাম্মদের বিবাহ ইতিহাস যারা জানেন তারা ভাবুন স্বয়ংবরে গিয়ে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব কিনা। তাছাড়া তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন ৪০বছর বয়স্কা খাদিজা নামক ব্যাবসায়ী মহিলা। আর তিনি কখনো শ্রীলঙ্কায় যাননি।


৮. “পদ্মা গৌরবর্ণ ও কল্কি কৃষ্ণবর্ণ।“(কল্কিপুরাণ ২/৩/১৯)

কিন্তু মোহাম্মদ কৃষ্ণবর্ণ ছিলেন না, শ্বেতবর্ণের ছিলেন।


৯ “পাপনাশী সর্বজয়ী বিষ্ণু বৌদ্ধ ও ম্লেচ্ছ সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করলেন এবং ধ্বংস করলেন।“(কল্কিপুরাণ ২/৭/১-৫০)


মোহাম্মদ বৌদ্ধদের সাথে যুদ্ধ করেননি। আর ম্লেচ্ছ বলতে অহিন্দু/অবৈদিক অর্থাৎ মুসলিম খ্রিস্টানদের বোঝায়। কিন্তু তারা অস্বীকার করে বলবে না, ম্লেচ্ছ অর্থ যারা মাছ খায়। তবে দেখুন শাস্ত্র কি বলে:

১০“গোমাংসখাদকো বস্তু বিরুদ্ধং বহু ভাষ্যতে।

সদাচারবিহীনশ্চ ম্লেচ্ছ ইত্যভিধীয়তে।।“(প্রায়শ্চিত্ত তত্বধৃত,বৌধায়ন গৃহ্যসূত্র)

অর্থ: যিনি গোমাংস ভক্ষণ করেন, বহু বেদ বিরুদ্ধ বাক্য বলেন ও সদাচার রহিত, তিনিই ম্লেচ্ছ নামে অভিহিত।


১১. “অনন্তর কল্কি ম্লেচ্ছগণকে ছেদন করিয়া যমালয়ে পাঠাইলেন।“(কল্কিপুরাণ ৩/১/১)

১২. “অতঃপর ভীমকর্মা কল্কি মৃত ম্লেচ্ছ ও বৌদ্ধগণকে জ্যোতির্ময় দিব্যলোকে প্রেরণ করিলেন এবং তাদের পত্নীগণকে ভক্তিশিক্ষা প্রদান পূর্বক মুক্তি দিলেন।“(কল্কিপুরাণ ৩/১/৪৩)


যুদ্ধে মৃতদের দিব্যলোকে প্রেরণের ক্ষমতা মোহাম্মদের ছিল ? তাছাড়া যুদ্ধবন্দী মহিলাদের (গণিমতের মাল) কি শোচনীয অবস্থা করা হতো তা আপনারা জেনে নেবেন।


১৩. “কল্কিদেব মুনিগণের প্রার্থনায় সেনাসহ হিমালয়ে গমন করলেন।“(কল্কিপুরাণ ৩/২/১১)

অথচ মোহাম্মদ কখনো হিমালয়ে যাননি।


১৪.“হিমালয়ে যুদ্ধার্থে কল্কিদেব ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করলেন।“(কল্কিপুরাণ ৩/২/৪৩-৪৪, ৩/৯/১০)

ব্রহ্মাস্ত্র হচ্ছে মন্ত্রপুত পারমাণবিক অস্ত্র; যা মোহম্মিদ কখনো ব্যবহার করেননি ।



১৫. “যুদ্ধশেষে কল্কিদেব নারদ, অশ্বত্থামা, পরশুরাম, দুর্বাসা প্রভৃতি সপ্তর্ষিগণের সাথে সাক্ষাৎ করলেন।(কল্কিপুরাণ ৩/৩/৪)

মোহাম্মদ এঁনাদের সাথে সাক্ষাৎ করেননি ।


গুরুগৃহে বিদ্যার্জন শেষে কল্কিদেব যখন পরশুরাম কে দক্ষিণা চাইতে বললেন, তখন গুরু পরশুরাম এই দক্ষিণা চাইলেন:


১৬. ‘‘তুমি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হ‌ইয়া ধর্মহীন ম্লেচ্ছ ও বৌদ্ধ গণকে সংহার করিয়া দেবাপি ও মরু নামক ধার্মিক নৃপতিকে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং সনাতন মোক্ষ ধর্ম সংস্থাপন করবে।(কল্কিপুরাণ ১/৩/৯-১০)

মোহাম্মদ কি সনাতন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? নিজেরাই বিচার করুন এবার মোহাম্মদ আর কল্কিদেব এক কিনা।


অথচ ইতোপূর্বে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এরূপ আশ্বাস দিয়েছেন:

১৭. “পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্৷ ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভাবামি যুগে যুগে৷৷’’(ভগবদগীতা ৪/৮)

অর্থ: সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য এবং দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

অপপ্রচারকারীরা ড. বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়ের “কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব” নামক ব‌ইকে রেফারেন্স হিসেবে ধরে এবং সেখান থেকে কিছু বানোয়াট শ্লোক নিয়ে অপপ্রচার করে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির নিজস্ব জল্পনা কল্পনা প্রামাণিক হতে পারেনা।

তারা আপনাকে বিভিন্ন বানোয়াট শ্লোক শোনাবে “মোহাম্মদ পরমব্রহ্ম” এই টাইপের। এসব ফাঁদে কান দেবেন না। কল্কিদেব কে নিয়ে প্রকৃত‌ই কিছু জানতে চাইলে প্রামাণিক গ্রন্থ “কল্কিপুরাণ” পড়ুন, শ্রীমদ্ভাগবতমের দ্বাদশ স্কন্দ পড়ুন। সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। সকলের কল্যাণ হোক।


পরিশেষে শ্রীজয়দেব গোস্বামীর “দশাবতার স্তোত্রম” থেকে:

১৮“ম্লেচ্ছ নিবহ নিধনে কলয়সি করবালং

ধুমকেতুমিব কিমপি করালং।

কেশবধৃত কল্কি শরীর

জয় জগদীশ হরে।।"



অর্থ: যিনি ম্লেচ্ছদের নাশ করবার জন্য ধূমকেতুর ন্যায় ভয়ঙ্করভাবে তরবারি চালনা করেন, সেই কল্কিরূপধারী জগৎপতি ভগবান কেশবের জয় হোক ।

অর্থাৎ কল্কিরূপটি কেশব(শ্রীকৃষ্ণ) ধৃত, মোহাম্মদধৃত নয় ।

“জয় জগদীশ হরে”


ree


Comments


Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page