UA-199656512-1
top of page

♣÷<{শ্রীজীব গোস্বামী}>÷♣

Updated: Jun 25, 2020


ree



♣÷<{শ্রীজীব গোস্বামী}>÷♣ গৌরীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সংবিধানের রচয়িতা হলেন ছয় গোঁসাই। শ্রীরুপ ও সনাতনের ভাইপো শ্রীজীব হলেন অন্যতম পণ্ডিত শুধু তাই নয় বৃন্দাবন লীলায় সখীমঞ্জরির অন্যতম মঞ্জরি হলেন শ্রীজীব গোস্বামী। ১৪৫৫ শকে তিনি জন্মগ্রহন করেন।মাত্র ২০ বৎসর গৃহস্থাশ্রমে ছিলেন।তাঁরপর বৃন্দাবনে গিয়ে শ্রীরুপ গোস্বামীর কাছে মন্ত্রদিক্ষা নিয়ে বাকি জীবন সেখানেই অতিবাহিত করেন। শ্রীধাম বৃন্দাবনে শ্রীরুপ ও সনাতন গোস্বামীপাদ নিজেদের ভাবজগতে বসে বসে দেখছেন পাহারের গায়ে গরুর নেমে আসার চিহ্ন কিন্তু ওঠার কোনো চিহ্ন নেই। এর কারণ তারা কোনো ভাবেই খুঁজে পেলেন না। মনে মনে ভাবলেন, আজ যদি শ্রীজীব থাকত তাহলে নিশ্চয় এর কারণ বলে দিত।কিন্তু শ্রীজীব কোথায়? সেই যে অভিমান করে চলে গেল আর তো ফিরল না।তার চলে যাওয়ার কারণ কি? অাসামের এগার সিন্ধু নামে এক গ্রামে রুপচন্দ্র কবিরাজ নামে এক পণ্ডিতের জন্ম হয়।বাল্যকালে অত্যন্ত দুরন্ত ও বিদ্যাভ্যাসে অনিহা দেখায় তার পিতা একদিন খাবার পাত্রে খাবারের পরিবর্তে ছায় দিয়ে দিয়েদিলেন। পিতার এই ব্যবহারে অপমানিত ও দুঃখিত হয়ে রুপচন্দ্র গৃহত্যাগী হলেন। রুপচন্দ্র আসামের সমস্ত বড় বড় পণ্ডিতদের কাছে শাস্ত্রশিক্ষা করলেন। উচ্চতর শিক্ষালাভের আশায় চলে এলেন তৎকালীন 'গঙ্গোত্রী নবদ্বীপে। এখানে জন্ম নিয়েছিলেন রাম তর্কবাগীশ, মহাপ্রভুুর শ্যালক জগদীশ তর্কালঙ্কার এবং তার গুরু ভবানন্দ সিধ্যান্ত বাগীশেরর মতো মহা মহা পণ্ডিতেরা।নবদ্বীপে এসে পাণ্ডিত্য অর্জন করে অহংকার ও দিগ্বিজয়ের নেশা তাকে পেয়ে বসল। ষড় গোস্বামীর পাণ্ডিত্যের কথা তিনি শুনেছিলেন।শ্রীরুপচন্দ্র চলে এলেন বৃন্দাবনে।প্রথমে শ্রীরুপ ও সনাতনকে শাস্ত্র তর্কে আহ্বান জানালেন। শ্রীরুপ ও সনাতন কোনোরকম বিচার না করেই কড়জোরে হার মেনে নিলেন। এমন সময় শ্রীজীব যমুনা স্নানে গিয়েছিলেন। পথমধ্যে শ্রীরুপচন্দ্র কবিরাজের সঙ্গে দেখা।শ্রীজীবকে তিনি তর্কযুদ্ধে আহ্বান জানালেন।তার মুখে সমস্ত ঘটনা শুনে মনে মনে ভাবলেন এ কোন পণ্ডিত যে আমার গুরুকে তর্কে হারায়। যুবক বয়সের তেজ তাই শ্রীজীব তৎক্ষণাৎ শ্রীরুপচন্দ্র কবিরাজের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে নেমে গেলেন এবং শ্রীরুপচন্দ্রকে পরাস্ত করলেন।শ্রীজীবের ফিরতে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন শ্রীরুপ।কারণ শুনে শ্রীরুপ তীব্র ভাবে ভৎর্সনা ও তীরস্কার করলেন।ছিঃ ছিঃ শ্রীজীব তুমি একি করলে?তুমি শাস্ত্র অহংকারীর,দাম্ভিক,ভক্তিহীনের সঙ্গে তর্ক করলে? দুর হয়ে যাও তুমি,আমি তোমার মুখ দর্শন করতে চাই না ........ " মুখ দর্শন করিবনা তোর, বৃথা তোমা পালিলাম রাজসভা তব সুযোগ্য ঠাঁই, নহে এই ব্রজধাম"।..... শ্রীগুরুর রোষানলে পতিত হয়ে গুরুত্যাগি শ্রীজীব মনের দুঃখে বৃন্দাবনের বনে বনে ঘুরতে থাকলেন।যে মুখ আমার গুরু দেখবেনা সেই মুখ আমি আর কাউকে দেখাবো না । দুঃখে অভিমানে একসময় যমুনা তটে কুমিরের গুহার ভেতর মুখ ঢুকিয়ে থাকলেন। মাটি খেয়ে খেয়ে পেটে পিলা হয়ে গেল। এই সময় তিনি রচনা করেছিলেন বিখ্যাত গ্রন্থ "শ্রীশ্রী গোপাল চম্পু "। এদিকে শ্রীজীবকে খুঁজতে খুজতে সনাতন গোস্বামী দেখলেন যমুনার তীরে একটি দেহ ভাঁসছে। কিন্তু তার শির কোথায়? করুণার সিন্ধু বৈষ্ণব, তাই মৃতদেহ মনে করে তার দেহটিকে কোলে তুলতে গিয়ে দেখলেন, এ তো শ্রীজীব।তাকে নিয়ে এসে সুস্থ করলেন। পরে গুরু শিষ্যের পুনরায় মিলন করিয়ে দিলেন।আনুমানিক ১৪৮০ শকে তাঁর অন্তর্ধান হয়। ÷<{জয় নিতাই ~জয় গৌরসুন্দর}>÷

Comments


Be Inspired
International Mula Gaudiya Sampraday Trust 

Write Us

For Any Assistance Or  Query Please Email Or Call To Us

Imgaudiyas@gmail.com

+918439217878

Vrindavan,Uttar Pradesh, India

  • Facebook
  • Facebook
  • YouTube Social  Icon
  • Whatsapp social icon
  • YouTube Social  Icon
  • Twitter Social Icon
  • instagram social icon
  • Facebook Social Icon

Success! Message received.

bottom of page