অপরা একাদশীর গুপ্ত মাহাত্ম্য ও ব্রতের ফল
- চাণক্য পণ্ডিত ।। चाणक्य पण्डित
- May 18, 2020
- 2 min read
Updated: Jun 25, 2020

সনাতন ধর্ম মতে শ্রেষ্ঠত্ব ব্রত বলা হয়েছে একাদশীকে। কারণ ভগবান বিষ্ণু একাদশী ব্রত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আজ আলোচনা অপরা একাদশী সম্বন্ধে। জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম অপরা একাদশী। মহারাজ যুধিষ্ঠির ভগবান পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কে বললেন হে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য আমাকে বলুন। উত্তরে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেনঃ হে মহারাজ মানুষের মঙ্গলের জন্য আপনি খুব ভালো একটি প্রশ্ন আমার কাছে উত্থাপন করেছেন।বহু পূর্ণ প্রদানকারী মহাপাপ বিনাশকারী ও পুত্র দানকারী একাদশী অপরা একাদশী নামে খ্যাত।এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করে নাম যশ খ্যাতি অর্জন করে। ব্রম্ম হত্যা, গোহত্যা, ভ্রূণহত্যা ,পরনিন্দা, পতিতাবৃত্তি ,মিথ্যা ভাষন, ছলনা ও বিভিন্ন গুরুতর হত্যার এই ব্রত পালনের ফলে নষ্ট হয়।যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দান করে ওজন বিষয়ে ছলনা করে শাস্ত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে যেতে গণনার ফলে মিথ্যার আশ্রয় নেয় মিথ্যা চিকিৎসা করে এবং চিকিৎসার জন্য অধিক অর্থ দাবি করে তারা সকলেই যাতনা ভোগ করে। এ সমস্ত ব্যক্তিরা যদি এই মহাপুণ্য ব্রত পালন করে তারাও এই পাপ থেকে মুক্তি পাবে।ক্ষত্রিয় যদি যুদ্ধ ত্যাগ করে পলায়ন করে তবে সে ঘোরতর নরকগামী হয় ইহাই শাস্ত্র সিদ্ধান্ত। যদি কেউ এই ব্রত পালন করে তবে সে স্বর্গ গতি লাভ করবে।মকর রাশিতে সূর্য অবস্থানকালে মাসে প্রয়োগ স্নানে ফল লাভ হয় ,শিবরাত্রি উপবাস করলে যে পূর্ণ লাভ অর্জিত হয়, পবিত্র গয়াধামে বিষ্ণুপদ পিন্ডদান ,সিংহ রাশিতে বৃহস্পতির স্থানে গৌতম নামক নদীতে স্নান, কেদারনাথ ভগবান দর্শন, বদ্রিকাশ্রম যাত্রা , ভগবান বদ্রি নারায়ন সেবা, সূর্য গ্রহণের ক্ষেত্রে স্নান, হাতি, ঘোড়া, স্বর্ণ, দক্ষিণা সহ যজ্ঞ করলে যে পূর্ণ অর্জিত হয় কাহা মাত্র এই একটি ব্রতের ফলে অর্জিত হয়। এই অপরাধ ব্রত বৃক্ষের কুঠার স্বরূপ , পাপ রুপ কাঠের আগুনের মত, পাপ রূপ আধারের সূর্য সম হয়ে থাকে এই ব্রত। কোন ব্যক্তি যদি এই ব্রত পালন না করে তাহলে তার জন্ম বৃথা ও জলে বুদবুদের মতো জন্ম মৃত্যু কে বলল সার হয়ে থাকবে।অপরা একাদশী উপবাস করে বিষ্ণু পূজা করলে সর্ব পাপ মুক্ত হয় বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হয়।এই ব্রত কথা পাঠ ও শ্রবণের ফলে সহস্রগুণ এর ফল লাভ হল ইহা ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে বর্ণিত হয়েছে।
লিখেছেঃ- শ্রীসৈকত কর্মকার

Comments